ভূত আছে তার প্রমাণ নিয়ে কিছু ছবি ও ঘটনা
ভূত আছে না নেই তা শীতের দুপুর কিংবা বর্ষার রাতের আড্ডার বড় আলোচ্য বিষয়। ভূত বিশ্বাসীরা তেনারা আছেন বলে যে প্রমাণগুলো দেন তারই সেরা পাঁচটা এখানে বলা হল--
ওয়েব ডেস্ক: ভূত আছে না নেই তা শীতের দুপুর কিংবা বর্ষার রাতের আড্ডার বড় আলোচ্য বিষয়। ভূত বিশ্বাসীরা তেনারা আছেন বলে যে প্রমাণগুলো দেন তারই সেরা পাঁচটা এখানে বলা হল--
১) গ্রুপ ফোটো- ইংল্যান্ডের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের গ্রুপ ফোটো। সাহবে সেনাদের ঐতিহযের ছবি। কিন্তু ছবিটি ওয়াশ করার পর দেখা যায় ফ্রেডি জ্যাকসনকে। রয়্যাল এয়ার ফোর্সের মেকানিক ফ্রেডি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন ছবিটি তোলার দিন দুয়েক আগে। কিন্তু দেখা যায় খুব আবঝাভাবে ফুটে উঠেছে মরে যাওয়ার ফ্রেডির মুখ। যারা ফ্রেডিকে চিনতেন ছবিটি দেখার পর সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন ওটা ফ্রেডিই। কিন্তু কী করে এই ছবিতে সে এল তার জবাব পাওয়া যায়নি।
২) দ্য লেডি অফ ব্যাচালারস গ্রোভ- দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ের গোরস্থান। শিকাগোর ব্যাচেলার গ্রোভ সিমেট্রি। যে ভদ্রমহিলাকে দেখা যাচ্ছে ছবিতে তিনি এক সপ্তাহ আগে আত্মহত্যা করে মারা যান। সেই ভদ্রমহিলা দাবি করেছিলেন তিনি ভূত দেখেছেন, এবং ভূতেরা তাকে মারার চেষ্টা করছে।
৩) কাউবয় ঘোস্ট-১৯৯৬ সালে তোলা এই ছবি। কাউবয়ের পোশাক পরে বথহিল গোরস্থানে তোলা এই ছবি। ছবি ওয়াশের পর দেখা যায় একজন মৃত মানুষের ছবি।
৪) দ্য ফায়ার গার্ল-১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর ইংলঅয়ান্ডের ওয়েম টাউন হলে ভয়াবহ আগুন লাগে। অনেক ইঞ্জিন আনার পরেও ভয়াবহ আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা করা যাচ্ছিল না। সেই সময় স্থানীয় এখ ছেলে আগুনের নানা দিক থেকে ছবি তুলতে শুরু করে। ছবি ওয়াশের পর দেখা যায় এক ছোট্ট মেয়ের ছবি। কিন্তু আদপে ওই বিল্ডিংয়ে কোনও ছোট্ট মেয়ে ছিল না। ছবিটি দেখে অনেকে বলেন মেয়েটির মুখের সঙ্গে হুবহ মিল একজনের যে ১৬৭৭ সালে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা যায়।
৫) ব্রাউন লেডি--এ পর্যন্ত তোলা সবচেয়ে আলোচিত ভৌতিক ছবি। ভূতে অবিশ্বাসীদের বহুদিনের বিশ্বাস অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছে এই ছবিটি। এ পর্যন্ত বহুবার পত্রপত্রিকায় ,নিবন্ধে ছবিটি ভূতের অস্তিত্বে পক্ষে প্রমান হিসেবে ব্যবহারিত হয়েছে ছবিটি ।
ছবির এক অশরীরী মানবী, যিনি 'ব্রাউন লেডি' নামে পরিচিত [যেহেতু সে বাদামী পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা দিত] বলা হয় তিনি হলেন Dorothy Walpole ; ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী Sir Robert Walpole এর বোন।
'ডরোথি ছিলেন Charles Townshend [ চার্লস ছিলেন Raynham এর ২য় Viscount]
এর ২য় স্ত্রী। চার্লস ডরোথির বাবার অভিভাবকত্বে বড় হন।একসময় তিনি ডরোথিকে ভালবেসে ফেলেন এবং তাকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু ডরোথির বাবার এই বিয়েতে মত ছিল না। কারণ তার ধারনা ছিল তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিয়েটিকে "অভিভাবকত্বের প্রভাবে কন্যার সৌভাগ্য আদায়" হিসেবে দেখবে। শেষে চার্লস Baron Pelham এর কন্যাকে বিয়ে করেন।১৭১১ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয় এবং এরপর তিনি ডরোথিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন লর্ড ওয়ার্টনের সাথে ডরোথির পূর্ব প্রণয়ের কথা।চার্লস ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে রেনহাম হলের এক কামরায় তাকে আটকে রাখেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ডরোথি সেখানেই ছিলেন।