ইউরোপে করোনা-বিপর্যয়, ইতালিতে একদিনে ৩৬৮ মৃত্যু

জরুরি অবস্থা জারি করেও থামছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জারি করতে হচ্ছে নাইট কার্ফু।

Updated By: Mar 16, 2020, 12:20 AM IST
ইউরোপে করোনা-বিপর্যয়, ইতালিতে একদিনে ৩৬৮ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতালিতে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস। একদিনে মৃত্যু হল রেকর্ড ৩৬৮ জনের। স্পেনের ফার্স্ট লেডিরও নভেল করোনা পজিটিভ। বিশ্বজুড়ে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। নিরাপত্তার খাতিরে বাকিংহাম প্যালেস ছেড়ে উইন্ডসর ক্যাসেলে গিয়ে থাকছেন ইংল্যান্ডের রানি। ভারতে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ১১০ জন। 

সংবাদ সংস্থা AFP জানিয়েছে, ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে রেকর্ড প্রাণহানি ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৬৮ জনের। ইউরোপে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০০০।          

 

এদিকে, জরুরি অবস্থা জারি করেও থামছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জারি করতে হচ্ছে নাইট কার্ফু। গোটা বিশ্বে করোনা নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। রেহাই মিলছে না কারও। স্পেনের ফার্স্ট লেডিরও নভেল করোনা পজিটিভ। বিশ্বজুড়ে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। নিরাপত্তার খাতিরে বাকিংহাম প্যালেস ছেড়ে উইন্ডসর ক্যাসেলে গিয়ে থাকছেন ইংল্যান্ডের রানি। 

গত শুক্রবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছিল, চিন নয়, এবার করোনার কেন্দ্রস্থল ইউরোপ। পরিস্থিতি সে দিকেই যাচ্ছে। সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। রবিবার থেকে সরকারি বনধ ফ্রান্সে। বাড়ি থেকে খুব দরকার ছাড়া না বেরোনোর নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সাড়ে চার হাজার আক্রান্ত। মৃত কমপক্ষে ৯১। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজই করোনা আক্রান্ত। মার্কিন শহর হবোকেনের মতো  বিভিন্ন জায়গায় নাইট কার্ফু জারি করছে ট্রাম্প প্রশাসন।  জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার ছুঁই ছুঁই। চাপে অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া। চিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। ইরানে ছশোর ওপর মৃত্যু হয়েছে। গণকবর স্থলের আকার এতটাই বেড়েছে, স্যাটেলাইট থেকেও ধরা পড়ছে তার ছবি। ভ্যাটিক্যানে ইস্টার উইকে এবার সামিল হতে দেওয়া হবে না কোনও ভক্তকেই। 

প্রত্যেকটা দেশ নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছে। বন্ধ করছে সীমান্ত। পরিস্থিতি যত খারাপ হচ্ছে, ততই চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও জোরদার হচ্ছে। কেন চিনের নেতা শি জিংপিং আরও শুরুতে সতর্ক হলেন না। তা নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন অনেকেই।কারণ গত নভেম্বরে প্রথম চিনে করোনা সংক্রমণের খবর আসে। করোনা নিয়ে সম্প্রতি চিনের কমিউনিস্ট সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন, সে দেশের ব্যবসায়ী রেন জিকিয়াং। তিনি আচমকাই বেপাত্তা। ফলে ফিসফাস আরও জোরদার। 

আরও পড়ুন- করোনাগ্রস্ত উহানে ২৩ বাংলাদেশি পড়ুয়াকে উদ্ধার, মোদীকে ধন্যবাদ হাসিনার

.