বালাকোটে বিমান হামলায় পর ৩৫টি মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে পাক সেনা, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর

বোমা বর্ষণের পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়ো হন এলাকার মানুষজন। কিন্তু তাঁদের দাবি ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলে পাক বাহিনী

Updated By: Mar 3, 2019, 01:06 PM IST
বালাকোটে বিমান হামলায় পর ৩৫টি মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে পাক সেনা, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বায়ুসেনার বিমান হানার পর ধীরে ধীরে ক্ষয়ক্ষতির খবর বেরিয়ে আসছে।

পাকিস্তান স্বীকার করতে না চাইলেও জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আম্মার ওই বিমান হানার কথা স্বীকার করেছে। এবার বেরিয় এল এক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ। স্ট্রিঞ্জার এসিয়া-র সম্পাদক ফ্রান্সেসকা ম্যারিনো তাঁর এক প্রতিবেদনে ওই বিমান হামলার কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন-বাজপেয়ীর পর মোদী, ১৪ বছরে সর্বনিম্ন কৃষিতে আয় বৃদ্ধির হার

প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জইশের ক্যাম্প বোমা হামলা হয়। এর ঘণ্টা খানের পর ঘটনাস্থল থেকে ৩৫টি মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যায় পাক সেনা। এদের মধ্যে ১২ জন একটি তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিল। তাদের সবারই মৃত্যু হয়ে ওই বিমান হানায়।

বোমা বর্ষণের পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে জড়ো হন এলাকার মানুষজন। কিন্তু তাঁদের দাবি ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলে পাক বাহিনী। এলাকায় কোনও পুলিসকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। উদ্ধারকাজে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে মোবাইলও নিয়ে নেওয়া হয়। এলাকাবাসীর দাবি বোমা বিস্ফোরণে কর্ণেল সেলিম নামে এক প্রাক্তন আইএসআই এজেন্টেরও মৃত্যু হয়। পাশাপাশি কর্ণেল জারার জাকরি নামে এক জইশ নেতাও নিহত হয়।

আরও পড়ুন-সংকল্প যাত্রা ঘিরে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, থানা ঘেরাও, আটক ২০০ বিজেপি কর্মী

বালাকোটে জইশের ওই ক্যাম্পে ১২ আত্মঘাতী জঙ্গি ছিল বলে এলাকার মনুষের দাবি। তারা থাকতো একটি মাটির বাড়িতে। বিস্ফোরণে সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ওইসব দাবি করলেও এলাকার সংবাদমাধ্যমে অনেকেই অবশ্য জানিয়েছেন বোমা হামলা হয়েছে বটে তবে বড়সড় কোনও ক্ষতি কারও হয়নি।

.