জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি আগামী সপ্তাহেই!

গত পঞ্চাশ বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ‌যে সিদ্ধান্ত নিতে সাহস করেননি, ট্রাম্প এবার তা করতে চলেছেন

Updated By: Dec 3, 2017, 04:57 PM IST
জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি আগামী সপ্তাহেই!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  গত পঞ্চাশ বছর ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ‌যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তা হয়তো এবার নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী সপ্তাহেই জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে মেনে নিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে ফের একদফা প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল সংঘাতে ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে।

ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের এই অংশটি নিয়ে দুই পক্ষের লড়াই বহু দিনের। জেরুজালেমে রয়েছে মুসলিমদের একাধিক 'পবিত্র স্থান'। রয়েছে আল আকসা মসজিদ। ফলে ওই এলাকার দখল সহজে ছাড়বে না প্যালেস্টাইন, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। এনিয়ে জর্ডন, থেকে সৌদি অধিকাংশ মার্কিন মিত্রই ওয়াশিংটনকে সাবধান করেছে। পাশাপাশি ইহুদিদের কাছেও এই জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই রয়েছে ওয়েলিং ওয়াল, ডোম অব দ্যা রক-এর মতো স্থান।

গত পঞ্চাশ বছর ধরে, প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের আমল থেকে মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ট্রুম্যানের ‌যুক্তি ছিল প্যালেস্টাইন ও ইজরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির নিস্পত্তি করতে হবে। প্রেসিডেন্ট বুশ(সিনিয়র) থেকে বারাক ওবামা, ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনকে দুটি দেশে ভাঙার পক্ষপাতী ছিলেন। পরিকল্পনা ছিল, এক্ষেত্রে দুটি দেশেরই রাজধানী হবে জেরুজালেম। কিন্তু ট্রাম্প একেবারে উল্টোপথে হাঁটতে চলেছেন। এমনকি মার্কিন দুতাবাস ভবনটিও তেল আবিব থেকে জেরুজালমে নিয়ে আসতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।   

প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে প্যালেস্টাইনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করেই সংঘাতের শুরু। ফলে এনিয়ে খুব সহজে সিদ্ধান্ত নেওয়া ‌যায় না।

পাশাপাশি প্যালেস্টাইন সংসদের সদস্য আবদুল করিম সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ওই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিলে মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র আর প্যালেস্টাইন সমস্যার মধ্যস্থতাকারী থাকবে না। বরং ইজরায়েলের পক্ষে হয়ে ‌গেছে বলেই ধরা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও এনিয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের আপত্তিতে তা করে উঠতে পারেনি ওয়াশিংটন।

আরও পড়ুন-'মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষক কেন?', জিডি বিড়লা কাণ্ডে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর

.