স্বস্থানে সারমেয়

চারদিকে জল থৈ থৈ। কোনওরকমে একটা উঁচু জায়গা খুঁজে আশ্রয় নিয়েছিল ওরা। কিন্তু, না খেয়ে আর কতদিন? শেষপর্যন্ত এল সাহায্য। তাইল্যান্ডে বন্যার জলে আটকে পড়া প্রায় তিনশো কুকুরের কাছে খাবার নিয়ে হাজির হল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

Updated By: Nov 16, 2011, 01:07 PM IST

চারদিকে জল থৈ থৈ। কোনওরকমে একটা উঁচু জায়গা খুঁজে আশ্রয় নিয়েছিল ওরা। কিন্তু, না খেয়ে আর কতদিন? শেষপর্যন্ত এল সাহায্য। তাইল্যান্ডে বন্যার জলে আটকে পড়া প্রায় তিনশো কুকুরের কাছে খাবার নিয়ে হাজির হল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বহুদিন পর পেটপুরে খেতে পেয়ে বেজায় খুশি সারমেয় দল। কিন্তু, বন্যার দূষিত জল ইতিমধ্যেই ওদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে মারণ ব্যাধি। অবিলম্বে, চিকিত্সা শুরু না হলে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়বে ওই রোগ। গত দুসপ্তাহ ধরে একই অবস্থা। এতটুকুও নামেনি জল। তাই কার্যত অনাহারেই দিন কেটেছে ওদের। কোনোরকমে নাখোন পাথোমে একটা উঁচু জায়গা পেয়ে গিয়েছিল। তাই, বন্যার জল ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি এই তিনশো কুকুরকে।
কিন্তু, না খেয়ে আর কতদিন? যে মহিলা এতদিন ওদের দেখভাল করতেন, ফুরিয়ে গিয়েছিল তাঁর যাবতীয় রসদও। আদরের পোষ্যদের হয়তো আর বাঁচানো যাবে না। এরকম আশঙ্কা যখন গ্রাস করছিল এই মহিলাকে, তখনই বন্যার জল কেটে এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি নৌকা। সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে কুকুরের জন্য পর্যাপ্ত খাবার আর ওষুধ। এতদিন পর খেতে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা সারমেয় বাহিনী। কিন্তু, ওরা বুঝতেও পারছে না, বন্যার জল নিঃশব্দে ওদেরই কয়েকজনের শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছে মারণ ব্যাধির জীবাণু। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত কুকুরগুলিকে অবিলম্বে অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে গেলে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়বে রোগ। ইতিমধ্যেই দশটি কুকুর মারা গিয়েছে। কুকুরগুলিকে যে মহিলা দেখভাল করতেন, তিনিও আজ সম্পূর্ণ অসহায়। এতদিন সাধারণ মানুষের সাহায্যের অর্থ দিয়েই চলত জীবসেবা। আজ সেই ভাঁড়ার সম্পূর্ণ খালি। তবে, আশা অকটাই। এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। অসুস্থ সারমেয়গুলো পাবে চিকিত্সা। আর সুস্থ কুকুরগুলিকেও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাবেন ওরা।

.