স্ট্রিট ফটোগ্রাফার! ১০ বছর ধরে ঘরহীনদের ছবি তুলতে তুলতে হঠাৎ খুঁজে পেলেন নিজের বাবাকে

রাস্তায় রাস্তায় ঘরহীনদের ছবি তুলতে তুলতে, ১০ বছর ধরে নিখোঁজ বাবার খোঁজ পেলেন ডিয়ানা কিম নামের এক স্ট্রিট ফটোগ্রাফার। হনলুলুর মাউই দ্বীপের বাসিন্দা কিমের এই আবিস্কারে হতচকিত তাঁর পরিবার।  হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে পেয়ে খুশি কিম। বাবার কাছেই ফটোগ্রাফির শিক্ষা। আর সেই ফটোগ্রাফই খুঁজে এনে দিল হারিয়ে যাওয়া বাবাকে।

Updated By: Aug 12, 2015, 12:56 PM IST
স্ট্রিট ফটোগ্রাফার! ১০ বছর ধরে ঘরহীনদের ছবি তুলতে তুলতে হঠাৎ খুঁজে পেলেন নিজের বাবাকে

ওয়েব ডেস্ক: রাস্তায় রাস্তায় ঘরহীনদের ছবি তুলতে তুলতে, ১০ বছর ধরে নিখোঁজ বাবার খোঁজ পেলেন ডিয়ানা কিম নামের এক স্ট্রিট ফটোগ্রাফার। হনলুলুর মাউই দ্বীপের বাসিন্দা কিমের এই আবিস্কারে হতচকিত তাঁর পরিবার।  হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে পেয়ে খুশি কিম। বাবার কাছেই ফটোগ্রাফির শিক্ষা। আর সেই ফটোগ্রাফই খুঁজে এনে দিল হারিয়ে যাওয়া বাবাকে।

ছোটবেলায় মা বাবা ও কিম। এই ছিল তাদের সুখী পরিবার। কিন্তু বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর নিজের আত্মীয় পরিজনদের কাছে থাকতে শুরু করেন কিম। বাবার সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় দীর্ঘ দশ বছর। হঠাৎ একদিন রাস্তার ধারে এক ব্যক্তিকে দেখে চমকে ওঠেন কিম। নিজের বাবার সঙ্গে মিল খুঁজে পান তিনি। এরপরই তিনি আবিস্কার করেন ওই ব্যাক্তিই তাঁর হারিয়ে যাওয়া বাবা।   

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? ২০০৩ থেকে হনলুলুর ঘরহীনদের ছবি তোলার কাজ শুরু করেন কিম। ছাদ বলতে মাথার ওপর আকাশ আর বিছানা বলতে রাস্তাই যাদের আস্তানা, সেই ঘরহীনদের ছবি নিয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করতে করতে নিজের হারিয়ে যাওয়া বাবার খোঁজ পাবেন বলে কখনই আশা করেননি কিম। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেন আর ছবি তুলতেন।

হঠাৎ একদিন তাঁর চোখে পড়ে একজন রুগ্ন ব্যাক্তি রাস্তায় পড়ে আছেন। বহুদিন কিম ওই ব্যাক্তির পিছু নিয়েছেন এবং প্রায় প্রতিনিয়ত নজরে রাখতেন। কখনও একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কখনও একটা ছেঁড়া কার্টূনের (বাক্স) মধ্যে মাথা গুঁজে শুয়ে আছেন, কখনও রাস্তার ধারে একা একা বসে আছেন, এই সমস্ত নানান মুহূর্ত কিম নিজের লেন্স বন্দি করেন। এরপরই তিনি আবিস্কার করেন ওই ব্যাক্তি তাঁর হারিয়ে যাওয়া বাবা। জরাজীর্ণ শরীর, গায়ে ছেঁড়া জামা কাপড়।  স্কিৎজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত  চিকিৎসাহীন বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন কিম।  

বাবা ভবঘুরে। কখনও খাবার পান। কখনও পান না। অভুক্ত কাটে দিন। এরপর থেকেই বাবার জন্য খাবার নিয়ে যেতেন তিনি।  যখন কিম তাঁর চিকিৎসা করাবেন বলে জানান কোনও ভাবেই রাজি করানো যায়নি তাকে। শেষে ২০১৪ অক্টোবরে হৃদ রোগে আক্রান্ত হবার পর নিজের চিকিৎসায় রাজি হন। এরপর দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর সুস্থ হয়েছেন তিনি। কিম জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বাবাকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। তিনি আরও বলেন, ' জীবন একটা উপহার। আমার খুব ভাল লাগছে এটা দেখে, বাবা এখন সুস্থ আছে।'

.