ফিলিপিন্সে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই, আফটারশকের ভয়ে কাঁটা সাধারণ মানুষ

আর কেঁপে ওঠেনি মাটি। কিন্তু, অভিজ্ঞতা বলছে আবারও যেকোনও সময় দুলে উঠতে পারে পায়ের তলার মাটি। তাই ফিলিপিন্সের সেবু, বোহল, মানদেয়ুর মতো শহরের বাসিন্দারা এখন রাত কাটাচ্ছেন রাস্তায়। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত ফিলিপিন্সে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রিখটার স্কেল বলছে কম্পনের মাত্রা ছিল সাত দশমিক দুই। আর তাতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি।  

Updated By: Oct 16, 2013, 10:31 PM IST

আর কেঁপে ওঠেনি মাটি। কিন্তু, অভিজ্ঞতা বলছে আবারও যেকোনও সময় দুলে উঠতে পারে পায়ের তলার মাটি। তাই ফিলিপিন্সের সেবু, বোহল, মানদেয়ুর মতো শহরের বাসিন্দারা এখন রাত কাটাচ্ছেন রাস্তায়। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত ফিলিপিন্সে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রিখটার স্কেল বলছে কম্পনের মাত্রা ছিল সাত দশমিক দুই। আর তাতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি।
 
এরপরও এসেছে একাধিক আফটার শক। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ ভূমিকম্প বিধ্বস্ত শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাত থেকেই খোলা জায়গাই হয়েছে ওঁদের নিরাপদ আশ্রয়। বাড়িঘর গোটা রয়েছে কিনা জানেন না অনেকেই। তবু, বুধবারও ঘর টানেনি ওঁদের।
 
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "আমরা পাঁচতলায় ছিলাম। তখনই বুঝতে পারি কীভাবে কাঁপছে। সারাদিন ধরেই একের পর এক আফটার শক হয়েছে। তাই আমরা নীচেই বসে রয়েছি।" অন্য আর একজন বলেন, "এখন এক জায়গায় বসে থাকলেও মনে হয় মটি দুলছে। তাই এখানেই থাকবো বলে ঠিক করেছি।"
 
মঙ্গলবার সকালে হয়েছে ভূমিকম্প। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারের কাজ। বুধবারও ধ্বসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছে একের পর এক দেহ। নিখোঁজ বহু মানুষ। হাসপাতালগুলিতে বেড সংকুলান হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে যথেষ্টই চিন্তায় চিকিত্সকরা। বুধবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, ত্রাণ আর উদ্ধারের কাজে কোনও ফাঁক থেকে যায়নি। কিন্তু, বুধবারও ত্রাণ নিয়ে শোনা গিয়েছে ক্ষোভের সুর।
 
বেশিরভাগটাই এখন ধ্বংসনগরী। সামর্থ থাকলেও খাবারটুকু কেনার মতো জায়গাই খুঁজে পাচ্ছেন না বহু মানুষ। কারণ, দোকানগুলোও যে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। কোনওরকম কালোবাজারি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ফিলিপিন্স সরকার। কিন্তু, শহরগুলিতে ত্রাণের কাজ শুরু হলেও বহু গ্রামে এখনও পৌঁছতেই পারেননি উদ্ধারকারীরা।

.