এমন শুয়োরের খামার দেখেছেন কখনও?

শুয়োরেরও ডানা! পাখা মেলে উড়ে যাবে সে! চমকে উঠলেন তো? চিনের খামারের ছবি দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। মোটাসোটা জন্তুগুলো কেমন দিব্যি লাফ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে!

Updated By: Dec 9, 2016, 10:08 PM IST
এমন শুয়োরের খামার দেখেছেন কখনও?

ওয়েব ডেস্ক : শুয়োরেরও ডানা! পাখা মেলে উড়ে যাবে সে! চমকে উঠলেন তো? চিনের খামারের ছবি দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। মোটাসোটা জন্তুগুলো কেমন দিব্যি লাফ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে!
পাখি তো উড়বেই। ঝাঁকে ঝাঁকে। দলে দলে। ডানা মেলে আকাশের বুকে পাড়ি দেবে তারা। পথ খুঁজে ঠিক পৌছে যাবে তার গন্তব্যে। এটাই স্বাভাবিক। বরং খাঁচায় আটকা, শিকলে বাঁধা মানেই পরাধীনতার নাগপাশ। পাখিকে মানায় না।

কিন্তু শুয়োরের ক্ষেত্রেও কি একথা খাটে? পাখা মেলে কি আকাশে উড়তে পারে নাদুসনুদুস এই পশুকুল? এই প্রশ্ন করাই বোধহয় বাতুলতা। শুয়োর কি কখনও উড়তে পারে? তার কি ডানা গজাতে পারে? পারে, আলবত পারে। চিনের শুয়োর-খামারের ছবি দেখলে আপনিও বলবেন...

এই খামারের শুয়োরগুলো আদরে ঠিক যেন বাঁদর। যা বলা হবে, ঠিক তাই করবে তারা। খুশিতে লাফ, উড়ে গিয়ে পড়া বা স্লিপিং স্লাইডে গড়িয়ে পড়া, এসব পেলে ওরা আর কিচ্ছু চায় না। আসলে খামারের শুয়োরগুলিকে শিশুর মতোই মানুষ করা হয়। শুধু ওয়াটার স্পোর্টসই নয়, শুয়োরের জন্য রয়েছে আলাদা স্লাইড। ডাইভিং বোর্ড থেকে শূন্যে লাফ, এটাই ওদের সবচেয়ে পছন্দের। জলে পড়ার পর গোলাপি নাক ও কান উঁচু করে দিব্যি সাঁতরে যাওয়াটাও ওদের কাছে বাঁহাতের খেল।

চিনের এই খামারের দাবি, নিয়মিত এক্সারসাইজে শুয়োরগুলি আরও হৃষ্টপুষ্ট হয়। বিশেষ করে ডাইভিং ও সাঁতারে আরও বেশি নাদুসনুদুস হয় তারা। ফলে, স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি মাংস পাওয়া যায়। অন্য খামারের চেয়ে তিন গুণ বেশি মাংস উত্পাদন হয় এই খামারে। এই মাংসের স্বাদও দারুণ।

পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, চিনে সবচেয়ে বেশি পর্ক উত্পাদন হয়। গোটা বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ পর্ক খায়। তার জন্য যে পরিমাণ পর্কের প্রয়োজন হয়, তার অর্ধেক আসে চিন থেকে। লাফ দেওয়া বা উড়ে যাওয়া, সাঁতার হোক বা দৌড়, চিনে রসেবশেই আছে খামারের বরাহকুল। ডানা এখনও গজায়নি। তবে গজাতে কতক্ষণ। এইরকম লাফ কে কবে দেখেছে বেঁটেখাটো, গোলগাল, ভারী চেহারার শুয়োরের কাছ থেকে?

.