শুকরের পেটেই গুপ্তধন! কোটিপতি প্রৌঢ়

 ‘পরশপাথর’ বোধহয় একেই বলে! যার ছোঁয়াতে যে কোনও পার্থিব বস্তুর সোনাতে রূপান্তরিত হয়। রাজশেখর বসুর সেই ‘পরশপাথর’এর খোঁজ এযাবত্ কেউ পেয়েছে বলে তো মনে হয় না। কিন্তু সেই পাথরের খোঁজ পেলেন সদূর চীনের বাসিন্দা বো চুনলুর। গল্পকথা সত্যি হল আজ। এমন জিনিস হাতে এল তার, যার স্পর্শে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি। নেপথ্যে তাঁর পোশা শূকর।

Updated By: Dec 22, 2017, 09:16 PM IST
শুকরের পেটেই গুপ্তধন! কোটিপতি প্রৌঢ়

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ‘পরশপাথর’ বোধহয় একেই বলে! যার ছোঁয়াতে যে কোনও পার্থিব বস্তুর সোনাতে রূপান্তরিত হয়। রাজশেখর বসুর সেই ‘পরশপাথর’এর খোঁজ এযাবত্ কেউ পেয়েছে বলে তো মনে হয় না। কিন্তু সেই পাথরের খোঁজ পেলেন সদূর চীনের বাসিন্দা বো চুনলুর। গল্পকথা সত্যি হল আজ। এমন জিনিস হাতে এল তার, যার স্পর্শে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি। নেপথ্যে তাঁর পোশা শূকর।

আরও পড়ুন: জেরুজালেম ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে নাকচ ট্রাম্প সিদ্ধান্ত, বিপক্ষে ভোট ভারতের

ব্যস, এখানেই গোল বাঁধল তো আপনার মনে! সেটাই স্বাভাবিক। বিষয়টি তবে খোলসা করেই বলা যাক। ৫১ বছরের বো চুনলুরের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ছিল কেবলই বিলাসিতা মাত্র। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের দুবেলা খাওয়া জুটলেও যথেষ্ট। বো-এর জীবনের ঘটনার মোড় ঘোরে তখনই, যখন তাঁর পোষা শূকরটি মারা যায়।

শূকরের পেট থেকে বিশেষ ধরনের বস্তু আবিষ্কার করেন বো, যেটি আসলে শূকরের গলস্টোন। বিশেষ ধরনের শক্ত জমাট বাঁধা পাথরের মতো অংশটিকে বেজোর বলে। এরপরই হাতে চাঁদ পান বো।

আরও পড়ুন: অপহরণ করে ধর্মান্তরকরণ এবং বিয়ে, পাকিস্তানে কেমন আছেন সংখ্যালঘুরা?

হালকা বিস্তর জ্ঞান আগেই ছিল। পাড়াপ্রতিবেশীদের কাছ থেকে কিছুটা আভাস পেয়ে আরও নিশ্চিত হন। তারপরই বেজোর নিয়ে চলে যান সাংহাইতে। ৪ ইঞ্চি লম্বা ও ২.৫ ইঞ্চি চওড়া বেজোর বেচে ৮.৭ কোটি টাকা পান তিনি।

এবার প্রশ্ন কেন বেজোর এত মূল্যবান?

শূকরের গলব্লাডারে অবস্থিত ওই পাথর থেকে প্রাণদায়ী ওষুধ তৈরি হয়। ইংল্যান্ডের এক গবেষক এই পাথরের গুণাগুণ প্রথম আবিষ্কার করেন। পরে চিনের চিকিত্সকরা তা ব্যবহার শুরু করেন।  

.