Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আসল উসকানিদাতা কে? এতদিনে জানা গেল নাম...
ইউক্রেন-সংকটের সূচনা মার্কিন দেশের হাতেই, তারাই এর প্রধান উসকানিদাতা। আর সেই যুদ্ধের সূত্রেই ওয়াশিংটন রাশিয়ার উপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে অস্ত্র ও আরও নানা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে চলেছে। কড়া অভিযোগ চিনের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যুক্তরাষ্ট্রকেই শেষ পর্যন্ত কাঠগড়ায় তুলল বিশ্বের অন্যতম শক্তি চিন। তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করল। মস্কোতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং হানহুই এই করে বলেছেন, ওয়াশিংটন আসলে রাশিয়াকে শেষ করে দিতে চাইছে। রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং হানহুই বলেন, ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটের বারবার সম্প্রসারণ ঘটানোর মধ্য দিয়ে রাশিয়াকে কোণঠাসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি বিষয়েও নিরন্তর চাপ দিয়ে গেছে। এক সাক্ষাৎকারে ঝ্যাং বলেন, ইউক্রেন-সংকটের সূচনা মার্কিন দেশের হাতেই, তারাই এর প্রধান উসকানিদাতা। আর সেই যুদ্ধের সূত্রেই ওয়াশিংটন রাশিয়ার উপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে অস্ত্র ও আরও নানা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
এর মধ্যে সব চেয়ে বড় যে অভিযোগ চিন করেছে তা হল, যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে ও নিষেধাজ্ঞার কবলে ফেলে রাশিয়াকে নিঃশেষ করা। মজার কথা হল, ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পিছনে রাশিয়া সাধারণত যেসব কারণ তুলে ধরে, চিনা রাষ্ট্রদূতের যুক্তি সেগুলিরই একটিকে ঘনিষ্ঠভাবে সমর্থন করছে।
আরও পড়ুন; Russias-Ukraine War: কেন হঠাৎ জি জিন পিংয়ের সাহায্য চাইলেন জেলেনস্কি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ফেব্রুয়ারিতে বেজিং সফরে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। একই সময়ে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটাতে থাকে রাশিয়া। গত সপ্তাহে চিনের স্বশাসিত অঞ্চল তাইওয়ান সফরে যান মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ঝ্যাং তাঁর এ সফরের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। চিন আসলে তাইওয়ানকে নিজের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হাজারো মানুষের প্রাণ গেছে। ইউক্রেনে ধ্বংস হয়েছে শহরের পর শহর। ইউক্রেনের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং বলেন, চিন-রাশিয়া সম্পর্ক ইতিহাসের সেরা সময়ে প্রবেশ করেছে। এই সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক আস্থা ও সর্বোচ্চ মাত্রার যোগাযোগের উপর প্রতিষ্ঠিত। এ সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বও সর্বোচ্চ পর্যায়ের।
অতএব, বোঝা যাচ্ছে, চিন রাশিয়া কাছাকাছি আসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের 'কমন এনিমি'। আর যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু ইউক্রেনকে যুদ্ধে নানা ভাবে সাহায্য করছে, তাই তাদের যৌথ ক্রোধ এখন গিয়ে পড়েছে আমেরিকার উপরেই। দেখা যাক, আগামী দিনে কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। বিশ্বের মহাশক্তিধর দেশগুলির পারস্পরিক সম্পর্কে কোনও সমীকরণ বদল হয় কিনা।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)