অবশেষে প্রস্তুত বোয়িংয়ের সেভেন-এইট-সেভেন ড্রিমলাইনার বিমান
টানা তিন বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে তৈরি বোয়িংয়ের সেভেন-এইট-সেভেন ড্রিমলাইনার বিমান। ধাতু নয়, মুলত প্ল্যাস্টিকে তৈরি ড্রিমলাইনার অন্যান্য বোয়িং বিমানের থেকে অনেক হাল্কা। জ্বালানিও সাশ্রয় করে।
টানা তিন বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে তৈরি বোয়িংয়ের সেভেন-এইট-সেভেন ড্রিমলাইনার বিমান। ধাতু নয়, মুলত প্ল্যাস্টিকে তৈরি ড্রিমলাইনার অন্যান্য বোয়িং বিমানের থেকে অনেক হাল্কা। জ্বালানিও সাশ্রয় করে। কূড়ি কোটি ডলার মুল্য এই ড্রিমলাইনার বিমানটি কিনেছে জাপানের অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ। আগামী ছাব্বিশে অক্টোবর থেকে উড়ান শুরু করছে ড্রিমলাইনার।
দুহাজার আট সালেই বোয়িং সেভেন-এইট-সেভেন ড্রিমলাইনার বিমানটির উড়ান শুরুর কথা ছিল। কিন্তু তিন বছর ধরে লাগাতার টালবাহানা চলেছে। কখনও প্রযুক্তিগত সমস্যা, কখনও শ্রমিক ধর্মঘট; নানান কারণে দেরি হচ্ছিল। এর ফলে বোয়িং সংস্থার কয়েক লক্ষ ডলার লোকশানও হয়েছে। কিন্তু এবার বোয়িং সেভেন-এইট-সেভেন ড্রিমলাইনার তৈরি। জাপানের অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ বিমানটি কিনেছে কূড়ি কোটি ডলারে। নিছক বিলাসবহুল বা আরামদায়ক বিমান নয়। সেভেন-এইট-সেভেন ড্রিমলাইনার ধাতু নির্মিত বোয়িং সেভেন-ফোর-সেভেনের তুলনায় অনেক হাল্কা। জ্বালানি সাশ্রয় করার পাশাপাশি এই নতুন বিমান অনেক বেশি দুরত্ব পাড়ি দিতে সক্ষম। বোয়িং কর্তৃপক্ষের আশা, আগামিদিনে বিমান তৈরির ক্ষেত্রে সেভেন-এইট-সেভেন ড্রিমলাইনার একটা উদাহরণ হবে। আগামী ছাব্বিশে অক্টোবর থেকে নিয়মিত উড়ান শুরু করবে এই নতুন বিমান। প্রথমে ঘরোয়া ক্ষেত্রে, তারপর দুরপাল্লা উড়ান শুরু হবে। বোয়িং ইতিমধ্যে আটশো একুশটি ড্রিমলাইনার তৈরির বরাত নিয়েছে। দুহাজার তেরোয় বাজারে আসছে এয়ারবাস এ-থ্রি ফাইভ জিরো। অনুমান আগামিদিনে ড্রিমলাইনারের সঙ্গে এয়ারবাস এ-থ্রি ফাইভ জিরোর জোর টক্কর হবে।