ভোটদানের অধিকার পেলেন সৌদি আরবের মেয়েরা
ভোটদানের অধিকার পেলেন সৌদি আরবের মেয়েরা। সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লা ঘোষণা করেন, এবার থেকে ভোটে দাঁড়ানো ও ভোট দানের অধিকার দেওয়া হল সৌদি মেয়েদের।
ভোটদানের অধিকার পেলেন সৌদি আরবের মেয়েরা। সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লা ঘোষণা করেন, এবার থেকে ভোটে দাঁড়ানো ও ভোট দানের অধিকার দেওয়া হল সৌদি মেয়েদের। আরব দুনিয়ায় একের পর এক দেশে রাজতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর থেকেই সৌদি আরবের কঠোর শরিয়তি আইন সংস্কারের দাবি উঠছিল। সেই দাবি পূরণের ক্ষেত্রে সৌদি রাজার এই ঘোষণা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
কঠোর শরিয়তি শাসনের নিগড়ে বাঁধা সৌদি আরবের সামাজিক রীতিনীতি। মেয়েদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার অনুমতি নেই সে দেশে। স্বামী বাবা বা পরিবারের পুরুষ কর্তার লিখিত অনুমতি ছাড়া উচ্চশিক্ষা নেওয়া, ভিনদেশে চাকরি করতে যাওয়া এমনকী চিকিত্সারও অনুমতি পান না সৌদি মেয়েরা। ভোটদানের অধিকার থেকেও বঞ্চিত ছিলেন সৌদি মেয়েরা। এহেন সৌদি সমাজে এবার থেকে মেয়েরা শুধু ভোট দেওয়ার অধিকারই পেলেন না, সেই সঙ্গে ভোটে লড়ার অধিকারও অর্জন করলেন।
সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লা বলেছেন, আমরা মেয়েদের সমাজের এক কোণায় ফেলে রাখার বিরোধী। অনেক আলোচনার পর আমরা মেয়েদের ভোটদানের অধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসন্ন পুরসভার ভোটেই সৌদি মেয়েরা ভোট দিতে ও সুরা কাউন্সিলে দাঁড়াতে পারবেন।
আরব দুনিয়ায় গণতন্ত্রের দাবিতে একের পর এক দেশে স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহে বেশ কিছুদিন ধরেই আশঙ্কিত সৌদি রাজপরিবার। সৌদি জনতার বিক্ষোভ কমাতে বেশ কিছু দিন ধরেই কিছু সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছে সৌদি প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মেয়েদের ভোটাধিকার দিয়ে সেই লক্ষ্যে অনেকটাই এগোতে পারল সৌদি রাজপরিবার।