Bangladesh: বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের 'বলি' BGB-র জওয়ানও, আহত ১০৩!
Bangladesh: 'র্যাবে দুজন বিজিবি সদস্য ডেপুটেশনে ছিলেন। তাঁরা ছাত্র-আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। বিজিবির মোট ১০৩ জন সদস্য আহত হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১০৩ জন সদস্যের মধ্যে বেশকিছু সদস্য আহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে। একই জায়গায় ডিউটি করাকালীন এমন ঘটনা ঘটে। তবে ভাগ্য ভালো ছিল, এগুলো সব ছররা গুলি ছিল। বাকি সদস্য আহত যারা ছিলেন তারা খুব বেশি গুরতর আহত নয়। বেশিরভাগই সুস্থ হয়েছেন'।
সেলিম রেজা, ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তখন উত্তাল বাংলাদেশ। প্রাণ হারান বিজিবি-র এক সদস্য়ও! আহত হন ১০৩ জন। তাঁদের মধ্য়ে বেশ কয়েকজন আবার আহত হন পুলিসের গুলিতে, জানালেন খোদ বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: Dhaka Ramkrishna Mission: বদলের বাংলাদেশে অশান্তির জের? রামকৃষ্ণ মিশনে বন্ধ কুমারী পুজো...
আজ, বিজিবি সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, 'র্যাবে দুজন বিজিবি সদস্য ডেপুটেশনে ছিলেন। তাঁরা ছাত্র-আন্দোলনে নিহত হয়েছেন। বিজিবির মোট ১০৩ জন সদস্য আহত হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১০৩ জন সদস্যের মধ্যে বেশকিছু সদস্য আহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে। একই জায়গায় ডিউটি করাকালীন এমন ঘটনা ঘটে। তবে ভাগ্য ভালো ছিল, এগুলো সব ছররা গুলি ছিল। বাকি সদস্য আহত যারা ছিলেন তারা খুব বেশি গুরতর আহত নয়। বেশিরভাগই সুস্থ হয়েছেন'।
পুলিসের মতোই বিজিবির কোনও সদস্য়ই কি পলাতক? মহাপরিচালকের জবাব, 'বিজিবির কোনও সদস্য পলাতক নেই। বিজিবির কোনও অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়নি। তবে আমাদের বেশকিছু গাড়ি পুড়ে গিয়েছে'। তাঁর কথায়, 'বিজিবির জনবল প্রায় ৫৭ হাজার। পুরো বিজিবি সদস্যের ৬ শতাংশের কিছু বেশি বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মোতায়েন ছিল। কেন এত কম মোতায়েন হয়েছে সেজন্য বাংলাদেশের আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আগের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নেতাদের কাছে কৈফিয়ত ও জবাবদিহি দিতে হয়েছে অসংখ্যবার'।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, 'বিজিবি যদিও এপিসির ওপরে অস্ত্র ছিল না। নরমালি কিন্তু এলএমপি বা মেশিনগান থাকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেখান থেকে আমরা অনেককে আমাদের বিজিবি হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দিয়েছি। তাদের এখনও আটজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের যাবতীয় খরচ বিজিবি দিচ্ছে'।বাংলাদেশের বিজিবি মহাপরিচালক জানান, 'পুলিশের চাইতে বিজিবির ১৫-২০ গুণ মারণাস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র আছে। বিজিবির কাছে লাইট মেশিনগান, মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড, রকেট বিধ্বংসী কয়েক প্রকারের অস্ত্র রয়েছে এগুলোর কোনোটাই বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ব্যবহার করা হয়নি। কারণ কখনও সীমান্তে যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি হয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর আওতাধীন থেকে প্রথম যুদ্ধ প্রতিরোধ বিজিবিকেই করতে হবে'।
আরও পড়ুন: Hurricane Kirk: এবার ধেয়ে আসছে ভয়ংকরতম এক হারিকেন! ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)