দূর্নীতির দায় নিয়ে সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী
ব্যক্তিগত সহকারি ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলের এক উচ্চপদস্থ অফিসারের `আর্থিক কেলেঙ্কারির` দায় কাঁধে নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। হাসিনা সরকারের ক্যাবিনেটে যোগদানের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই সরতে হল আওয়ামি লিগের এই প্রবীণ সংখ্যালঘু নেতাকে।
ব্যক্তিগত সহকারি ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলের এক উচ্চপদস্থ অফিসারের `আর্থিক কেলেঙ্কারির` দায় কাঁধে নিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। হাসিনা সরকারের ক্যাবিনেটে যোগদানের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই সরতে হল আওয়ামি লিগের এই প্রবীণ সংখ্যালঘু নেতাকে।
উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে নগদ অর্থ পাওয়া গিয়েছিল। ওই সময় গাড়িতে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) ইউসুফ আলি মৃধা ও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেলওয়ের কমানড্যান্ট এনামুল হক। রেলওয়েতে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ঘুষ হিসেবে পাওয়া ৭০ লাখ টাকা-সহ তাঁরা পিলখানায় বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদর দফতরের প্রধান ফটকে আটক হন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, গাড়ির ড্রাইভার ঘুষের টাকা নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে গাড়িটিকে বিজিপি দফতরে ঢুকিয়ে দেয়। অবশ্য পরে সরকারের উচ্চমহলের হস্তক্ষেপে তিন অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে গাড়িটি রেলমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। বস্তুত এই ঘটনার পর থেকেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর পদত্যাগ চেয়ে সোচ্চার হয়েছিল বিএনপি, জামাতে ইসলামি, ইসলামি ঐক্যজোট-সহ বিরোধী দলগুলি।
প্রাথমিক ভাবে পুরো ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন সুরঞ্জিতবাবু। রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলি মৃধাকে ও কমান্ডেন্ট এনামুল হককে সাসপেন্ড করা হয়। বরখাস্ত করা হয় ওমর ফারুক তালুকদারকে। এছাড়া ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী মারজিয়া ফারহানার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও `ফ্রিজ` করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির তরফে সুরঞ্জিতের পদত্যাগ দাবি করা হলে যথেষ্ট বেকায়দায় পড়ে যায় আওয়ামী লিগ নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে দলনেত্রী হাসিনা ওয়াজেদকে স্বস্তি দিতে এদিন নিজেই সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানান সুরঞ্জিতবাবু। প্রসঙ্গত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হলেন দেশের চতুর্থ ব্যক্তি যিনি স্বেচ্ছায় মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ালেন। এর আগে পূর্বতন বিএনপি সরকারের শিল্পমন্ত্রী জহির উদ্দিন, তার আগের আওয়ামী লিগ সরকারের গৃহনির্মাণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবসরউদ্দিন ও বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন।