কাবুলে গুলির লড়াই শেষ হল ১৮ ঘণ্টা পর
আফগানিস্তানের কাবুলে জঙ্গি-নিরাপত্তাবাহিনী গুলির লড়াই শেষ হল। টানা ১৮ ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই। কাবুল পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, সব জঙ্গিরই মৃত্যু হয়েছে। আফগান-সংসদের থেকে যে জঙ্গি গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল, নিহত হয়েছে সেও।
আফগানিস্তানের কাবুলে জঙ্গি-নিরাপত্তাবাহিনী গুলির লড়াই শেষ হল। টানা ১৮ ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই। কাবুল পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, ৩৬ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আফগান-সংসদের থেকে যে জঙ্গি গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল, নিহত হয়েছে সেও। আফগান সংসদ এবং দূতাবাস সংলগ্ন এলাকা বিপদ মুক্ত করা হয়েছে। গত ২ দিনে কাবুলে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৬ জন জঙ্গির। মৃত্যু হয়েছে সাত নিরাপত্তাকর্মীরও। রবিবারের জঙ্গিহামলায় মোট ৬৫ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ২৫ জন সাধারণ নাগরিক।
রবিবারের পর সোমবার সকাল থেকেও গুলির লড়াই শুরু হয় কাবুলে। নিরাপত্তার কারণে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজায়কে অজ্ঞাতস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজধানী কাবুলে রবিবার কমপক্ষে ১২টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটায় তালিবান জঙ্গিরা। আফগান সংসদে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। সেদেশের প্রেসিডেন্টের আবাস লাগোয়া স্টার হোটেল লক্ষ্য করেও রকেট ছুঁড়েছে জঙ্গিরা। ব্রিটিশ এবং রুশ দূতাবাসকে লক্ষ্য করে চালানো হয় রকেট হামলা। হামলা হয় মার্কিন ও জার্মান দূতাবাসেও। তবে ভারতীয় দূতাবাস সুরক্ষিত আছে বলেই জানা গিয়েছে। কাবুলের পাশাপাশি জালালাবাদ বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। রাজধানীর পাশাপাশি লোগার এবং পাকতিয়া প্রদেশেও হামলা হয়। হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান জঙ্গিরা।
এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় আফগানিস্থানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল ন্যাটো ও আফগানবাহিনী। আফগানিস্থানের রাজধানী কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্ব আগেই সেদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে ন্যাটো। তার পর শহরের সব থেকে সুরক্ষিত এলাকায় পর পর হামলায় বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্থান থেকে ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের বাস্তবতা নিয়েও।