বিদায় বেলায় বিশ্ব দেখল এক অন্য ওবামাকে!
ইরাক-আফগানিস্তানের যুদ্ধ। বিন লাদেনের হত্যা। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মরিয়া চেষ্টা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ বারাক ওবামার ৮ বছরের কার্যকাল কম উত্থানপতনের সাক্ষী নয়। কিন্তু শেষবেলায় গোটা বিশ্ব দেখল অন্য দৃশ্য। বিদায়ি ভাষণে বাকরুদ্ধ ওবামা কেঁদে ফেললেন। প্রোটোকলের বেড়া ভেঙে ভাসলেন আবেগে।
ওয়েব ডেস্ক : ইরাক-আফগানিস্তানের যুদ্ধ। বিন লাদেনের হত্যা। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মরিয়া চেষ্টা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ বারাক ওবামার ৮ বছরের কার্যকাল কম উত্থানপতনের সাক্ষী নয়। কিন্তু শেষবেলায় গোটা বিশ্ব দেখল অন্য দৃশ্য। বিদায়ি ভাষণে বাকরুদ্ধ ওবামা কেঁদে ফেললেন। প্রোটোকলের বেড়া ভেঙে ভাসলেন আবেগে।
CHANGE WE CAN. তিনটি শব্দ। আট বছর আগে এই তিনটি শব্দের ম্যাজিক দেখেছিল গোটা বিশ্ব। এক লহমায় মুছে গিয়েছিল দাসপ্রথার ঘৃণ্য ইতিহাস। যাবতীয় গোড়ামি, বর্ণবিদ্বেষ মুছে দিয়ে আমেরিকা স্বাগত জানিয়েছিল তাঁদের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টকে। তিন শতকে প্রথম। সব প্রথা ভেঙে ওভাল অফিসে পা রেখেছিলেন বারাক হুসেন ওবামা। বিদায় বেলাতেও, সেই প্রথা ভাঙা খেলা।
আরও পড়ুন- "কোনও কম্পিউটারই নিরাপদ নয়, তাই কুরিয়্যার সার্ভিসই ভাল" বললেন ট্রাম্প
বরাবরই হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর শেষ বার্তা দিয়ে থাকেন বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। কিন্তু ব্যতিক্রম ওবামা। যে শিকাগোতে দাঁড়িয়ে তরুণ আইনজীবী ওবামা পালাবদলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেখান থেকেই মার্কিনিদের উদ্দেশে দিলেন তাঁর শেষ বার্তা। ভাষণে রাজনীতি, কূটনীতি, অর্থনীতি, বর্ণবৈষম্য, সব ছিল। কিন্তু সেখানেও ব্যতিক্রম। বিদায়বেলায় বাকরুদ্ধ ওবামা আবেগে ভাসলেন, কেঁদে ফেললেন।
শুধু স্ত্রী মিশেল নয়। বিদায়ি ভাষণে বার বার বলেছেন দুই মেয়ে সাশা ও মালিয়ার কথা। আর বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার যুব প্রজন্মকে।