হাফিজ সঈদসহ পাঁচ জঙ্গি নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালুর অনুমতি, মুখোশ খুলল পাকিস্তানের

মে মাসে করোনার অজুহাত দিয়ে হাফিজ সঈদকে লাহোরের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

Updated By: Jul 13, 2020, 01:53 PM IST
হাফিজ সঈদসহ পাঁচ জঙ্গি নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালুর অনুমতি, মুখোশ খুলল পাকিস্তানের

নিজস্ব প্রতিবেদন- কেন আপনাদের জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল বলা হয়! এটা কখনও আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের জিজ্ঞাসা করবেন। কয়েকদিন আগে আন্তর্জাতিক স্তরের একটি আলোচনাসভায় এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানের নেতাদের। প্রশ্নটা যে একেবরেই অমূলক ছিল না সেটা পাকিস্তানের সরকার আরও একবার প্রমাণ করে দিল। বরাবরই জঙ্গি নেতাদের মদত দিয়ে আসছে পাকিস্তান। বহুবার এমন অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে দেশের সরকার মদত জোগায়। এমন মারাত্মক অভিযোগও ছিল। কিন্তু পাকিস্তান বরাবর সেসব অস্বীকার করেছে। আবার হাতেনাতে ধরাও পড়েছে বারবার।

লস্কর ই তৈবা ও জামাত উদ দাবা, দুই জঙ্গি সংগঠনের হোতা হাফজ সঈদসহ পাঁচ নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করার অনুমতি দিয়েচে পাকিস্তানের সরকার। পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংযুক্ত রাষ্ট্র সংরক্ষা পরিষদের সেকশন কমিটি অনুমতি দেওয়ার পর পাকিস্তানে হাফিজ সঈদসহ পাঁচ জঙ্গি নেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মে মাসে করোনার অজুহাত দিয়ে হাফিজ সঈদকে লাহোরের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে জেলে হাফিজ সঈদের ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। হাফিস সইদ ছাড়াও সেই সময় আরো চার জঙ্গি নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই জঙ্গি সংগঠনের জন্য বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগে হাজতে ছিল।

আরও পড়ুন-  ৫৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন নেলসন মেন্ডেলার কন্যা জিন্দজি মেন্ডেলা

লস্কর ও জামাতের আব্দুল সালাম ভুট্টি, হাজি এম আশরফ, ইয়াঝা মুজাহিদ ও জাফর ইকবালের মতো জঙ্গি নেতাদেরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু করার অনুমতি দিয়েছে ইমরান খানের সরকরা। এই জঙ্গি নেতারা সরকারের কাছে দিনকয়েক আগে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালু করার আবেদন করেছিল। তারা জানিয়েছিল, তাদের পরিবারের লোকেরা আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছে। আর তাতেই মন গলে যায় পাক সরকারের। হাফিজ সঈদসহ বাকি নেতাদের কাছে তাদের আয়ের উত্স জানতে চাওয়া হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই সত্ পথে রোজগার করে বলে দাবি করেছে। এবং পাকিস্তানের সরকার সেই কথা বিশ্বাসও করেছে। 

.