Bangladesh: এবার বাংলাদেশের আলু খেয়ে বাঁচবে যুদ্ধবাজ রুশ সেনা! পুতিনের পাশে হাসিনা?
Bangladesh to Export Potatoes: পারস্পরিক বাণিজ্য কি প্রতীকী? সব সময় হয়তো সেভাবে বলা যায় না। বাণিজ্য বাণিজ্যের পরিসরেই আবদ্ধ। তা সত্ত্বেও দেশটার নাম যেহেতু রাশিয়া, তাই নানা রকম সমীকরণ খোঁজার চেষ্টা চলছে। কেননা, এবার বাংলাদেশের আলু যাবে পুতিনের দেশে। রাশিয়ার পাশে কি মুজিবের দেশ?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় সারা বিশ্ব তাদের বিপক্ষে। কেউই সর্বান্তঃকরণে রাশিয়ার এই ইউক্রেন আক্রমণকে সমর্থন করেনি। আমেরিকা তো এই নিয়ে রীতিমতো খড়়হস্ত রাশিয়ার প্রতি। পশ্চিমি বিশ্বের প্রতিও তাই রাশিয়ার নানা সময়ে নানা ধরনের কটূক্তি বিতরণ জারি থেকেছে। এই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে। আর, এমনও শোনা গিয়েছে, খোদ রাশিয়ার সেনাদলই নাকি তাদের দেশের প্রশাসনের উপর, প্রেসিডেন্টের উপর খাপ্পা। তারা আর এই যুদ্ধ করতে চায় না। কিন্তু, কোনও উপায় নেই। সব মিলিয়ে রাশিয়ার বাইরের ও ভিতরের পরিবেশ মোটেই সুখকর নয়। কিন্তু এরই মধ্যে রাশিয়া পাশে পেল বাংলাদেশকে।
কী ভাবে?
ঘটনাক্রম যা, তাতে দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রায় কোণঠাসা রাশিয়া, সমস্ত দেশের সমালোচনার স্থল রাশিয়ার সেনারা এবার বাংলাদেশের আলু খেয়েই জীবন ধারণ করবে।
কেন আলু?
আরও পড়ুন: Ban Use Of English: সরকারি কাজে ইংরেজি ব্যবহার করলেই এবার থেকে দিতে হবে মোটা জরিমানা...
কেননা, এবার আলু রফতানির জন্য বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও রাশিয়ার পক্ষে ন্যাশনাল গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া এই চুক্তিতে সই করেন। গতকাল মঙ্গলবার ৪ এপ্রিল বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে এই মউ স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়া ও মাটি আলু উৎপাদনের খুবই অনুকূল। বর্তমানে বছরে এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হচ্ছে। যদিও আমাদের প্রয়োজন বছরে ৮০ লাখ টন, বাকি ২০ লাখ টন রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগটাই আমরা নিচ্ছি।
বাংলাদেশের আলুতে ক্ষতিকর রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে সেদেশের আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়া। এর পরই আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এরই ফলশ্রুতিতে ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। আর রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের আলু রফতানির একটি বিশাল দরজা খুলে গেল রাশিয়ায়।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ায় দীর্ঘদিন আমাদের আলু রফতানি বন্ধ ছিল। আলুতে ক্ষতিকর রোগের উপস্থিতির জন্য এটা ঘটেছিল। তবে এখন আমরা আমাদের আলু রোগজীবাণুমুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের থেকে এই নিশ্চয়তা পেয়েই রাশিয়া আলু রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, এ বছরে খুব বেশি হবে না হয়তো, কিন্তু আগামী বছরে আমরা দেড় থেকে দু'লাখ টন আলু রফতানি করতে পারব। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে শেষ বারের মতো রাশিয়ায় ২০ হাজার টন আলু রফতানি করা সম্ভব হয়েছিল।