ইরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা জনতার

তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা চালাল একদল বিক্ষোভকারী। ইরানের বিরুদ্ধে ব্রিটেন কয়েকটি বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করাতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। দূতাবাসের ব্রিটিশ পতাকা সরিয়ে বিক্ষোভকারীরা ইরানের পতাকা লাগিয়ে দেয়। এধরনের হামলার ফল আগামিদিনে মোটেই সুখকর হবে না বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রিটেন।

Updated By: Nov 30, 2011, 10:26 AM IST

তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা চালাল একদল বিক্ষোভকারী। ইরানের বিরুদ্ধে ব্রিটেন কয়েকটি বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করাতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। দূতাবাসের ব্রিটিশ
পতাকা সরিয়ে বিক্ষোভকারীরা ইরানের পতাকা লাগিয়ে দেয়। এধরনের হামলার ফল আগামিদিনে মোটেই সুখকর হবে না বলে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রিটেন। ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদও।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল ইরানের। গত সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। কারণ, ইরানকে কোণঠাসা করতে নতুন কৌশলের ঘোষণাটা হয়েছিল গত সপ্তাহেই। ইরানের ব্যাঙ্কগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্রিটিশ ট্রেজারি। তাদের অভিযোগ ছিল, পরমাণু পরীক্ষায় ইরানকে অর্থ জোগাচ্ছে ওই ব্যাঙ্কগুলি। আর আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার একটি রিপোর্ট সেই আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে মাথা তুলতে চাইছে ইরান।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এই রিপোর্ট দেওয়ার পর রবিবারই ইরানের পার্লামেন্টে ব্রিটেনের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আর সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ দেখা গেল মঙ্গলবার। তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা চালায় একদল বিক্ষোভকারী। ব্রিটেনের জাতীয় পতাকা খুলে দূতাবাসের ছাদে লাগিয়ে দেওয়া
হয় ইরানের পতাকা। দূতাবাসের ভিতরে একটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভয়ে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান দূতাবাসের কর্মীরা। স্বভাবতই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ব্রিটেন। ব্রিটিশ বিদেশ সচিব উইলিয়াম হেগ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আহমেদিনেজাদ সরকারকে।
ঘটনার পর আহমেদিনিজাদ প্রশাসনকে কড়াবার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদও। পরিষদের ১৫টি সদস্যদেশই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তবে, এবারই প্রথম নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ব্রিটেনের সঙ্গে একাধিকবার সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে ইরানের। পারমানবিক পরীক্ষা নিয়ে ২০০৯ সাল থেকেই শুরু হয় টানাপোড়েন। ইরানের প্রায় একশো কোটি পাউন্ড সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেয় ব্রিটেন। সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয় যে দুপক্ষই রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করে দেয়। দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অশান্তি সৃষ্টি করছে ব্রিটেন। ২০০৯ সালে এই অভিয়োগকে সামনে রেখেই সুর আরও চড়া করে ইরান। আর গত নভেম্বরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্রিটেন। মঙ্গলবারের হামলা তারই ফলশ্রুতি বলে মনে করা হচ্ছে।

.