স্টালিন-কন্যা শ্বেতলানার প্রয়াণ
প্রয়াত হলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কিংবদন্তী কমিউনিস্ট নেতা যোশেফ স্টালিনের এক মাত্র কন্যা শ্বেতলানা অ্যালুভা। গত ২২ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে একটি বৃদ্ধাশ্রমে মৃত্যু হয় ৮৫ বছরের এই দেশত্যাগী লেখিকার। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
প্রয়াত হলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের কিংবদন্তী কমিউনিস্ট নেতা যোশেফ স্টালিনের এক মাত্র কন্যা শ্বেতলানা অ্যালুভা। গত ২২ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে একটি বৃদ্ধাশ্রমে মৃত্যু হয় ৮৫ বছরের এই দেশত্যাগী লেখিকার। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ত্যাগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্টালিনের একমাত্র কন্যা। ঠাণ্ডা যুদ্ধের চরম সময়ে শ্বেতলানার এই সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি করেছিল। নিজের বাবার রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে অনীহার পাশাপাশি তাঁর সোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়ার পেছনে আরো একটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। সেটি হল, তাঁর প্রয়াত স্বামী ব্রিজেশ সিং-এর যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি মস্কো প্রশাসন।
১৯৬৬ সালে তিনি ভারতে গিয়ে ব্রিজেশের ছাইভস্ম গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে আসেন। এরপর সোভিয়েত ইউনিয়নে ফেরার পরিবর্তে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজে নয়াদিল্লির মার্কিন
দূতাবাসে হাজির হন। আশির দশকে একবার সোভিয়েত ইউনিয়নে ফিরলেও, তারপর পাকাপাকি ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে স্থপতি উইলিয়াম ওয়েসলে পিটারকে বিয়ে করার পর তিনি লানা পিটার্স নাম গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। যদিও শেষ জীবনে লানা নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি।
লানা পিটার্স নামেই চারটি বই লিখেছেন স্টালিনের মেয়ে। সেগুলোর মধ্যে দুটি স্মৃতিকথা রয়েছে, যেগুলি বিপুল সংখ্যক বিক্রির রেকর্ড অর্জন করে। তার প্রথম স্মৃতিকথা,
`টোয়েন্টি লেটার টু এ ফ্রেন্ড` ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়। এই স্মৃতিকথা থেকে তিনি আয় করেন প্রায় ২৫ লক্ষ মার্কিন ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর লানা পিটার্স জানান, নিজেকে প্রকাশ করার জন্যেই তিনি এখানে এসেছেন, যা রাশিয়ায় থেকে সম্ভব নয়। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে কিন্তু নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে
নিয়েছিলেন স্টালিন-কন্যা। প্রচার মাধ্যমকে এড়িয়ে অন্তরালেই থাকতে সচেষ্ট ছিলেন তিনি।