বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকে নিহত ২০০ জেহাদি, প্রকাশ্যে পাকিস্তানের স্বীকারোক্তি

কিন্তু ওই হামলায় কোনও ক্ষতি হয়নি বলে বারবার দাবি করা হচ্ছে পাকিস্তানের তরফে। সেই দাবির সত্যতা নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠল।

Updated By: Mar 13, 2019, 01:39 PM IST
বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকে নিহত ২০০ জেহাদি, প্রকাশ্যে পাকিস্তানের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন: বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে সামনে এল নতুন তথ্য। হামলার পর নিহত জঙ্গিদের দেহ বালাকোট থেকে সরিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তানি সেনা।

খাইবার-পাখতুনওয়া এবং পাকিস্তানের কিছু আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় দেহগুলি সরিয়ে ফেলা হয়। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর তরফে এই খবর সামনে আনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অনেক জঙ্গির মৃতদেহ সরানো হয়েছে।

এই দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন গিলগিটের এক মানবাধিকার কর্মী। একই সঙ্গে তিনি একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে বালাকোটে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে অন্তত ২০০ জনের নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিচ্ছে পাকিস্তানি সেনা।

গিলগিটের ওই মানবাধিকার কর্মী হাসনান সেরিং ভিডিয়োটি ট্যুইট করে লিখেছেন, ''বালাকোটে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে ২০০ জনের নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করে নিচ্ছেন পাকিস্তানি সেনার আধিকারিক। পাকিস্তানের সরকারের পক্ষ নিয়ে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে জেহাদ করছিল। তাই ওপরওয়ালার কাছে তারা বিশেষ মর্যাদা পাবে।''

সংবাদসংস্থা এএনআই-কে শেরিং জানিয়েছেন, ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে তাঁর মনে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে বালাকোটে কিছু একটা হচ্ছে। আর পাকিস্তান অনেক কিছু লুকিয়ে রাখছে।

আরও পড়ুন: চিনই ভরসা! মধ্যরাতে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ তকমার নির্ধারণ মাসুদ আজহারের

শেরিংয়ের প্রশ্ন, পাকিস্তান দাবি করছে বালাকোটের জঙ্গলে হামলা চালিয়েছে ভারত। নষ্ট হয়েছে গাছ। তাহলে ওই এলাকা কেন ঘিরে রাখা হয়েছে? এতদিন ধরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে সেখানে কেন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে?

শেরিংয়ের দাবি, পাকিস্তানের কিছু উর্দু সংবাদমাধ্যমে মৃতদেহ সরানোর বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদও বালাকোটে নিজেদের মাদ্রাসার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছিল। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে বালাকোট ভারতের হামলা সফল হয়েছিল।

আরও পড়ুন: নিজের সংগঠনের কার্যালয়েই হাফিজ সইদের বক্তৃতা বন্ধ করে দিল পাক পুলিস

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানা হয়। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ। পুলওয়ামা হামলার ১২ দিন পর প্রত্যাঘাত করে ভারত। বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে বায়ুসেনা।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মাটি থেকে বিদেশে সন্ত্রাস চালান করতে দেওয়া হবে না: ইমরান 

কিন্তু ওই হামলায় কোনও ক্ষতি হয়নি বলে বারবার দাবি করা হচ্ছে পাকিস্তানের তরফে। সেই দাবির সত্যতা নিয়েই ফের প্রশ্ন উঠল।

.