Omicron আতঙ্কের মাঝেই অজানা রোগের হানা! মৃত ৮৯
ভয়াবহ বন্যার ফলে ম্যালেরিয়ার মতো রোগের বিস্তার ঘটেছে। খাদ্যের অভাবে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের নতুন রূপ Omicron-র আতঙ্কের মাঝেই, আফ্রিকায় একটি রহস্যময় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। দক্ষিণ সুদানের (South Sudan) জোংলেই (Jonglei) রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের শহর ফাঙ্গাক-এ (Phangak) এই রোগে বহু মানুষ মারা গেছেন। এই খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই অঞ্চলে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহের জন্য WHO বিজ্ঞানীদের একটি দল পাঠিয়েছে সেখানে।
WHO-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন এই রহস্যময় রোগ নির্ধারণ এবং তদন্তের জন্য একটি র্যাপিড রেস্পন্স টিম পাঠানো হয়েছে। এই টিম ওই অঞ্চলের সাধারন মানুষের থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। বর্তমানে এই অজানা রোগে ৮৯ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। যে অঞ্চলে এই রগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে, সেই অঞ্চল কিছুদিন আগেই বন্যায় ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে বিজ্ঞানিদের দল ওই অঞ্চলে গেছে তাদেরকে হেলিকপ্টারে করে সেখানে পৌছতে হয়েছে এই কারনে।
আরও পড়ুন: শুধু বাতকর্ম করেই কোটি টাকা রোজগার করছেন এই যুবতী!
সুদানের (Sudan) ভূমি, আবাসন ও পাবলিক ইউটিলিটি মন্ত্রী লাম তুংওয়ার কুইগওং-এর (Lam Tungwar Kuigwong) মতে, জোংলেই-এর সীমান্তবর্তী রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার ফলে ম্যালেরিয়ার মতো রোগের বিস্তার ঘটেছে। খাদ্যের অভাবে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের জলে তেল মিশে যাওয়ায় তা দূষিত হয়ে গেছে। এর ফলে পোষ্য প্রাণীও মারা গেছে। দক্ষিণ সুদানের উত্তর অঞ্চলের বন্যা ওই অঞ্চলের মানুষের জীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR জানিয়েছে বিগত ৬০ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ এই বন্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জন্য মূলত জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করা হচ্ছে। এই এলাকায় কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা Médecins Sans Frontires (MSF) জানিয়েছে বন্যার কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর চাপ বাড়ছে।