আফগানিস্তানে মসজিদের মধ্যেই ধর্ষিত ১০ বছরের কিশোরী, নিগৃহীতার 'অনার কিলিং'-এ তৎপর পরিবার

নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল আফগানিস্তানের এক মসজিদ। পবিত্র ধর্মস্থানে ১০ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করল এক মুসলিম ধর্মযাজক। যদিও ওই ধর্ম যাজক দাবি করেছে পুরো ঘটনাটাই নাকি সম্মতিসূচক যৌনাচার।

Updated By: Jul 22, 2014, 01:11 PM IST
আফগানিস্তানে মসজিদের মধ্যেই ধর্ষিত ১০ বছরের কিশোরী, নিগৃহীতার 'অনার কিলিং'-এ তৎপর পরিবার

আফগানিস্তান: নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল আফগানিস্তানের এক মসজিদ। পবিত্র ধর্মস্থানে ১০ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করল এক মুসলিম ধর্মযাজক। যদিও ওই ধর্ম যাজক দাবি করেছে পুরো ঘটনাটাই নাকি সম্মতিসূচক যৌনাচার।

কিন্তু নিগৃহীতা মেয়েটি মাত্র ১০ বছরের। ফলে তার সম্মতি কিভাবে সম্ভব সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মেয়েটির পরিবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যেই ''অনার কিলিং''-এর পরিকল্পনা করেছে। যদিও ওই ধর্মযাজক মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।

চরম যৌন নির্যাতনেই থেমে থাকছে না ওই কিশোরীর যন্ত্রণা। স্থানীয় পুলিস মেয়েটিকে তার আশ্রয়স্থল থেকে বের করে এনে জোর করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানের মহিলা সমাজকর্মীরা যদিও পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছিলেন পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলে মেয়েটির প্রাণনাশের আশঙ্কা থেকে যাবে। কিন্তু তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেনি পুলিস।

অভিযুক্ত ধর্মযাজক মহম্মদ আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত জানিয়েছে গত ১ মে কোরান পাঠের ক্লাসের পর ওই কিশোরীর সঙ্গে যৌনাচারে লিপ্ত হয়েছিল সে। যদিও আমিন দাবি করেছে সে ভেবেছিল মেয়েটি প্রাপ্ত বয়স্ক।

মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং মেয়েটির স্বীকারোক্তি অবশ্য আমিনের সব দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছে। মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রমাণ ওই কিশোরীর উপর নির্মমভাবে যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে।

ধর্ষিত মেয়েদের 'হনার কিলিং' আফগানিস্তানে অত্যন্ত 'সাধারণ' ঘটনা। মানবাধিকার দলগুলি জানাচ্ছে এক বছরে অন্তত ১৫০টি 'অনার কিলিং'-এর ঘটনা ঘটে সে দেশে।

 

.