আফগানিস্তানে `কোরান` পোড়াল ন্যাটো!

তালিব যোদ্ধাদের মৃতদেহে প্রস্রাবের পর এবার কোরান পোড়ানোর অভিযোগ উঠল আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে। যার জেরে কার্যত জ্বলছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার কাবুলে ন্যাটো বিমানঘাঁটির সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় কয়েক হাজার মানুষ।

Updated By: Feb 21, 2012, 04:37 PM IST

তালিব যোদ্ধাদের মৃতদেহে প্রস্রাবের পর এবার কোরান পোড়ানোর অভিযোগ উঠল আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে। যার জেরে কার্যত জ্বলছে আফগানিস্তান। মঙ্গলবার কাবুলে ন্যাটো বিমানঘাঁটির সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় কয়েক হাজার মানুষ। উত্তর কাবুলের বাগ্রাম বিমানঘাঁটিতে এদিন সকাল থেকেই পেট্রোল বম্ব ছুঁড়তে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ২০০০-এর বেশি মানুষ বিক্ষোভে সামিল হন। আমেরিকার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে তারা। এমনকী অনেকের মুখে তালিবানি গানও শোনা যায়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বলেও জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, বাগ্রাম বিমানঘাঁটিতে কোরান ও বেশ কিছু ইসলাম ধর্মীয় সরঞ্জাম পুড়িয়েছে কয়েকজন মার্কিন ফৌজ। আবদুল ওয়াহিদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ একটি ট্রাকে ভর্তি কোরান বাগ্রাম বিমানঘাঁটিতে নিয়ে আসে মার্কিন সেনারা। এরপর সেগুলিকে একটি জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা আধিকারিক জেনারেল জন আর অ্যালেন জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ``এই ধরনের কোনও ঘটনা থাকলে আমি আফগান সরকার ও আফগান জনতার কাছে আগাম ক্ষমা চাইছি। এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।``
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সিদিক সিদ্দিকি এই বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সম্ভাব্য হিংসা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে কোরান পোড়ানোর অভিযোগে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে ওবামা প্রশাসন। এই ঘটনা প্রমাণিত হলে তালিবান শান্তি আলোচনায় যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.