বিপন্ন আফগান শৈশব, দেশ গড়তে তবু আশা যোগাচ্ছে ছাত্র সমাজই
আফগানিস্তান বললেই সামনে আসে গোলাগুলি আর অবিরাম হিংসার সন্ত্রাসদীর্ণ ছবি। সুস্থ শৈশব এখনও এখানে দূর অস্ত। প্রাথমিক শিক্ষার হাল বেহাল। তবে আশার কথা ধীরে ধীরে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্ত হলেও চোখে দেশ গড়ার স্বপ্ন নিযে পড়তে আসছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
ওয়েব ডেস্ক: আফগানিস্তান বললেই সামনে আসে গোলাগুলি আর অবিরাম হিংসার সন্ত্রাসদীর্ণ ছবি। সুস্থ শৈশব এখনও এখানে দূর অস্ত। প্রাথমিক শিক্ষার হাল বেহাল। তবে আশার কথা ধীরে ধীরে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়। আক্রান্ত হলেও চোখে দেশ গড়ার স্বপ্ন নিযে পড়তে আসছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
এ দেশ যুদ্ধের দেশ। প্রতি মুহুর্তে গোলাগুলির শব্দ আর বন্দুকের ঝলসানি এই দেশের গা-সওয়া। সেই দেশ কখনও মুখরিত হবে স্কুল পড়ুয়াদের কলকাকলিতে তা ভাবাই বোধহয় স্বপ্ন। কারণ দেশের নাম আফগানিস্তান। এখানে শৈশবের সঙ্গী বই নয়। বরং ছোট থেকেই শৈশব বিক্রি হয় রোজগারের মাধ্যম হিসেবে।
পরিসংখ্যান বলছে প্রতি ৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে আফগানিস্তানে একজন স্কুলছুট। তবে শুধু কি যুদ্ধই দায়ী স্কুলছুটের জন্য? নাকি যুদ্ধ-পরবর্তী এ এক অনিবার্য পরিস্থিতি? যা ভেঙে দিয়েছে এই দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। উত্তর মেলে না। তবে বড় বেশি দগদগে হয়ে ওঠে টেবিল-চেয়ার বিহীন স্কুলঘরের ছবিগুলো। মনে ভয় এখনও আছে। এ দেশ এখনও ভোগে নিরাপত্তাহীনতায়।
অভিযোগও আছে। আমেরিকার পাঠানো অনুদান নয়ছয় হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে না শিক্ষার উন্নতিতে। তবে রাস্তায় বেরোলেই এখনও পুলিস সার্চ করছে, এ ছবিই প্রমাণ করে এ দেশে এখনও বন্দুকের নল কথা বলে। প্রাথমিকে শিক্ষার করুণ দশা হলেও আশা জোগাচ্ছে উচ্চশিক্ষা। ধবংসাবশেষ থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পথ দেখাচ্ছে THE AMERICAN UNIVERSITY OF AFGHNISTAN।
আশা জোগাচ্ছেন এই ছাত্ররাই। নিজে আক্রান্ত হওয়ার স্মৃতি ভুলে এগোতে চাইছেন এরা। ভবিষ্যত প্রজন্ম শিক্ষিত হলে দেশও যে এগিয়ে যাবে। ঢেলে সাজা হয়েছে নিরাপত্তা। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কানাডার একটি সংস্থাকে। হিংসা রয়েছে। রয়েছে ভয়। এই সবকিছুকে সঙ্গী করেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে আজকের আফগানিস্তান। (আরও পড়ুন- পাকিস্তানের পারাচিনারে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ২২)