ছিনতাই করতে এসে কেঁদে ফেলল দুষ্কৃতীরা, বুকে জড়িয়ে নিল ডেলিভারি বয়কে
দুষ্কর্ম করতে নেমেও অনেকে মানবিকতা বিসর্জন দিতে পারছেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমাতে সারা বিশ্বের বহু দেশে লকডাউন চলছে। প্রায় আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন থাকায় মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দুবেলা খাবার জুটছে না অনেকেরই। ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার একাধিক দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এমনিতেই ধার-দেনায় ডুবেছিল পাকিস্তান। তার মধ্যে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ইমরান খানের দেশকে নতুন করে বিপদে ফেলে দিয়েছে। সেখানে বহু মানুষ আর্থিক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। দুবেলা খাবার জোগাড় করতে অনেকেই অসৎ পথ অবলম্বন করছেন। কাজ হারিয়ে বহু মানুষ এখন চুরি ডাকাতি শুরু করেছে। তবে দুষ্কর্ম করতে নেমেও অনেকে মানবিকতা বিসর্জন দিতে পারছেন না।
পাকিস্তানের এক ডেলিভারি বয় খাবার ডেলিভারি করতে গিয়েছিলেন। কাস্টমারের বাড়িতে খাবার ডেলিভারি করার পর গেট থেকে এগিয়ে নিজের বাইকের সামনে দাঁড়াতেই দুজন ছিনতাইকারী তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। তাদের মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক ছিল। ফলে মুখ দেখে চেনার উপায় ছিল না। তবে পুরো ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ রেকর্ড হতে থাকে। দুজন দুষ্কৃতীর মধ্যে একজন অস্ত্র দেখিয়ে ওই ডেলিভারি বয়ের মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি, টাকা এবং সঙ্গে থাকা আরো কিছু দামি সামগ্রী কেড়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের হাতে সব কিছু হারানোর শোকে সেই ডেলিভারি বয় কাঁদতে শুরু করে। তাঁর কান্না দেখে ছিনতাইকারীদের মন গলে যায়। সব জিনিস ডেলিভারি বয়কে আবার ফিরিয়ে দেয় ওই দুই দুষ্কৃতী। তারপর বুকে জড়িয়ে নেয় ডেলিভারি বয়কে।ছিনতাই করলেও অনেকেই মানবতা বর্জন করেনি। তা দেখে প্রশংসা করছেন অনেকে।
ছিনতাই বা ডাকাতির সময় মানুষ খুন বা হতাহতের খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। অনেক সময় ছিনতাই করতে এসে দুষ্কৃতীরা সফল না হলে মানুষের ওপর আঘাত করে। এমনকী খুন করতেও পিছপা হয় না। কিন্তু ছিনতাই করতে এসে যুবকের কান্না দেখে তাঁকে বুকে জড়িয়ে নেওয়া এবং হ্যান্ডশেক করার মতো ঘটনা এর আগে কখনো দেখেছেন কি! পাকিস্তানের এই ঘটনা প্রমাণ করল, অনেক মানুষ অসৎ পথ অবলম্বন করলেও মানবতা বর্জন করেননি। নেহাত পেটের দায়ে অসত্ উপায় অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে বহু মানুষ।