ডোপিং থেকে আবেগ-বর্ণময় চরিত্র ওচোয়ার জানা অজানা কথা
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে একেবারে অবিশ্বাস্য কিছু গোল বাঁচিয়ে তিনি এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। ২৪ ঘণ্টা আগেও যাঁর নাম কেউ জানত না, সেই গুলেরমো ওচোয়া এখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় সবার আগে। ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত নামও এখন তিনিই।
---------------------------------------------------------------
পার্থ প্রতিম চন্দ্র
বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে একেবারে অবিশ্বাস্য কিছু গোল বাঁচিয়ে তিনি এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। ২৪ ঘণ্টা আগেও যাঁর নাম কেউ জানত না, সেই গুলেরমো ওচোয়া এখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় সবার আগে। ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত নামও এখন তিনিই।
নেইমারদের বিরুদ্ধে মোট ৯টি সেভ করেন ওচোয়া। আসুন ওচোয়াকে নিয়ে ৯টা জানা অজানা কথা জেনে নিই।
১) এই মাসের শেষ থেকে ফ্রি ফুটবলার হয়ে যাচ্ছেন গুলেরমো ওচোয়া। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি তাঁর প্রিয় ক্লাব ফ্রান্সের আজাক্কিও নতুন করে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখায়নি। আজ থেকেই ওচোয়ার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে ইউরোপের অনেক বড় ক্লাব। আর্সেনাল, ম্যান সিটি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে খবর। তবে তিনি ফ্রান্সেই থাকতে চান বলে খবর।
২) ডোপিংয়ে অভিযুক্ত হয়ে মেক্সিকো ছেড়েছিলেন- ২০১১ সালে মেক্সিকোয় গোল্ড কাপচলাকালীন আরও পাঁচ ফুটবলারের সঙ্গে ডোপিংয়ে অভিযুক্ত হয়ে সাসপেন্ড হয়ে যান ওচোয়া। পরে ভুল শুধরে নিয়ে মেক্সিকো ফুটবল ফেডারেশন বলে, অবৈধ কোনও ড্রাগ নয় খাবারের সঙ্গে বিষক্রিয়ার জন্য ডোপ টেস্টে পজিটিভ পাওয়া যায় ওচোয়ার। বিরক্তিতে দেশ ছেড়ে ফ্রান্সের ক্লাব আজিক্কোতে সই করেন ২৮ বছরের এই মেক্সিকান গোলকিপার।
------------------------------------------------------------
৩) প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে মাঠেই কেঁদে ফেলেছিলেন- দলের সতীর্থরাই বলেন ওচোয়া খুব আবেগপ্রবন। সামান্য কোনও ঘটনাতেই নাকি কেঁদে ফেলেন। শোনা যায় একবার এক ক্লাব ম্যাচের আগে প্রেমিকার সঙ্গে খুব ঝগড়া হয় তাঁর। ম্যাচ চলাকালীন নাকি কাঁদেন থাকেন তিনি।
৪) গত বছর লিভারপুলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন-- ২০১৩ সালে লিভারপুলের পক্ষ থেকে তাঁকে মোটা টাকায় খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিভিন্ন ব্রিটিশ পত্রিকা থেকে বলেও দেওয়া হয় ওচোয়া লিভারপুলে যোগ দিচ্ছেন। তবে শেষ অবধি তা হয়নি।
---------------------------------------------------
৫) গত দুটো বিশ্বকাপে রিজার্ভ বেঞ্চেই কাটিয়েছিলেন-২০০৬ জার্মানি, ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটো বিশ্বকাপেই দলে ছিলেন। কিন্তু দুবারেই দলের তৃতীয় গোলকিপার হিসাবে রিজার্ভ বেঞ্চে জায়গা পেয়েছেন। ২০১০ বিশ্বকাপে তাঁকেই প্রথম একাদশে খেলানো হবে এমনটাই ধরে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোচের ইচ্ছায় ওচোয়া নয় অস্কার পেরেজকে গোলকিপার হিসাবে প্রথম একাদশে নেওয়া হয়।
৬) ডাক নাম মিমো- ২৮ বছরের এই গোলকিপারের ডাক নাম মিমো। দেশের মিডিয়া তাঁক নাম দিয়েছে মেক্সিকান জেসাস।
৭) সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা-বিশ্বকাপের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ সেভাবে তাঁকে চিনত না। কিন্তু গতকাল ম্যাচ যতবার দুরন্ত সেভ করেছেন, লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তাঁর ভক্ত সংখ্যা। ম্যাচের পর দিন নেইমার, অস্কাররা নন ইন্টারেনট দুনিয়ায় তিনিই রাজা। গত ৫ ঘণ্টায় টুইটারে ওচোয়ার নতুন `ফলোয়ার` সংখ্যা ৯ লাখ ছাড়িয়েছে।
----------------------------------------------
৮) লেভ ইয়াসিনের সঙ্গে তুলনা--অনেক প্রাক্তন ফুটবলার তাঁর সঙ্গে লেভ ইয়াসিনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন।
৯) ছ আঙুল নয় পাঁচ আঙুল- অনবদ্য গোলকিপিংয়ের পর ওচোয়াকে নিয়ে নানা গুজব শুরু হয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে খুব শেয়ার হওয়া এক ছবিতে দেখানো হয়েছে ওচোয়ার নাকি ৬টা আঙুল। প্রমাণ হিসাবে তাঁর হাতের ছবিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় সেটা জাল ছবি। ওচোয়া নিজেও এই বিষয়ে নিয়ে টুইট করেন। টুইটে লেখেন, না না আমার পাঁচটাই আঙুল।