ব্রাজিল থেকে বলছি
এবার দেখে নেব বিশ্বকাপের কিছু টুকরো খবর।
1. সেরা প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার পুরস্কারের বাছাই তালিকা প্রকাশ করল ফিফা। তালিকায় রয়েছেন ফ্রান্সের পল পোগবা, রাফায়েল ভারান এবং নেদারল্যান্ডসের মেমফিস ডিপায়। এবছর বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার হিসাবে গোল করেছিলেন মেমফিস ডিপায়। গতবছর অনূর্ধ্ব-কুড়ি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফ্রান্সের পল পগবা। ফ্রান্স রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসা হলেন রাফায়েল ভারান। গত মরসুমে রিয়াল মাদ্রিদে অসাধারণ পারফর্ম করেছিলেন তিনি। ফিফার টেকনিকাল স্টাডি গ্রুপ সেরা ফুটবলার নির্বাচিত করবে। বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন সেরা প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার পুরস্কারের ঘোষণা করা হবে।
2. বিশ্বকাপের পর কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ আলেয়ান্দ্রো সাবেয়া। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতুক বা না জিতুক তিনি আর কোচ থাকবেন না বলে জানিয়েছেন সাবেয়া। দুহাজার এগারো সালে জুলাই মাসে মেসিদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তারপর তাঁর দায়িত্বে চল্লিশটি ম্যাচে ছাব্বিশটিতে জিতেছে আর্জেন্টিনা। তবে বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্বসেরা হতে চান সাবেয়া।
3. জার্মানির বিরুদ্ধে ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনা দলকে তাতাবেন দিয়েগো মারাদোনা। মেসিদের সঙ্গে একই হোটেলে থাকবেন ফুটবলের রাজপুত্র। বেলো হরিনজন্টের পাশে ভেসপাসিয়ানো শহরের একটি হোটেলে রয়েছে আর্জেন্টিনা দল। চলতি বিশ্বকাপে এই প্রথম আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে দেখা করবেন মারাদোনা। তবে বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই ভাল চোখে দেখেননি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুলিও গ্রনডোনা। এর আগেও মারাদোনাকে দলের জন্য অপয়া বলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন তিনি।
4. বিশ্বকাপের ফাইনালে রেফারি হিসাবে পরিচালনা করবেন ইতালির রেফারি নিকোলা রিজোলি। এবছর বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করা হয়ে গেছে তাঁর। পেশায় আর্কিটেক্ট রিজোলি এর আগেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রেফারিং করেছে। যার মধ্যে রয়ে দুহাজার বারো সালের স্পেন-ফ্রান্স উয়েফা কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। এরই পাশাপাশি গতবছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বায়ার্ন মিউনিখ-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ফাইনাল ম্যাচও পরিচালনা করেছিলেন রিজোলি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় ইতালিয় রেফারি হিসাবে ফাইনাল পরিচালনা করবেন তিনি।
5. রিও এখন আর্জেন্টিনাময়। ফাইনালে মেসিদের খেলা দেখতে রিওতে এসে পৌছলেন একঝাঁক সমর্থক। হোটেলে জায়গা নেই। তা সত্বেও ফিরে যাননি। রিও রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। ব্রাজিলে ছোট-মোট কাজ করে নিজেদের খরচ চালাচ্ছেন সমর্থকরা।অনেকে আবার গিটার বাজিয়ে গান গেয়ে অথবা রাস্তায় খেলা দেখিয়ে উপার্জন করছেন। বহু সমর্থক আবার নিজের জিনি বিক্রি করে টাকা পয়সার জোগাড় করছেন। আর্জেন্টিনা জিতলে আরও কয়েকদিন রিওতে থেকে পার্টি করার মুডে অনেকে।