দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বায়ুমণ্ডলে বিলীন হল চিনা মহাকাশকেন্দ্র তিয়াংগং ১
২০১১ সালে নিজেদের প্রথম মহাকাশ স্টেশন তিয়াংগং ১ উত্ক্ষেপণ করে চিন। প্রথম অভিযানে একটি মানববিহীন যান গিয়ে তিয়াংগং ১ এর সঙ্গে নোঙর করেন। এর পর ২টি অভিযানে তিয়াংগং ১-এ গিয়েছেন মোট ৬ জন তাইকোনট (চিনা ভাষায় মহাকাশচারী)। ২০১৬ সাল থেকে ৮ মেট্রিক টন ওজনের তিয়াংগং ১ এর সঙ্গে চিনা পরিচালকদের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওয়েব ডেস্ক: প্রতাশ্যামতোই ভারতীয় সময় সোমবার কাকভোরে বায়ুমণ্ডলে বিলীন হয়ে গেল চিনা মহাকাশকেন্দ্র তিয়াংগং ১। একই সঙ্গে শেষ হয় চিনা মহাকাশ অভিযানের একটি অধ্যায়।
আন্তর্জাতিক সময় অনুসারে মঙ্গলবার রাত ১২.১৬ মিনিটে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তিয়াংগং ১। বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে কিছুক্ষণের মধ্যেই টুকরো টুকরো হয়ে যায় সেটি। তিয়াংগং ১-এর অংশবিশেষ মাটিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নামমাত্র বলে আগেই জানিয়েছিলেন গবেষকরা। সেই আশ্বাসই ফলল অবশেষে।
UPDATE: #JFSCC confirmed #Tiangong1 reentered the atmosphere over the southern Pacific Ocean at ~5:16 p.m. (PST) April 1. For details see https://t.co/OzZXgaEX0W @US_Stratcom @usairforce @AFSpaceCC @30thSpaceWing @PeteAFB @SpaceTrackOrg pic.twitter.com/KVljDALqzi
— 18 SPCS (@18SPCS) April 2, 2018
২০১১ সালে নিজেদের প্রথম মহাকাশ স্টেশন তিয়াংগং ১ উত্ক্ষেপণ করে চিন। প্রথম অভিযানে একটি মানববিহীন যান গিয়ে তিয়াংগং ১ এর সঙ্গে নোঙর করেন। এর পর ২টি অভিযানে তিয়াংগং ১-এ গিয়েছেন মোট ৬ জন তাইকোনট (চিনা ভাষায় মহাকাশচারী)।
২০১৬ সাল থেকে ৮ মেট্রিক টন ওজনের তিয়াংগং ১ এর সঙ্গে চিনা পরিচালকদের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পর থেকে মহাকাশ যানটির কক্ষের পরিধি ক্রমশ কমতে থাকে। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতেই ফিরে আসতে চলেছে সেটি। মহাকাশযানটির ওপর মানুষের কোনও নিয়ন্ত্রণ না-থাকায় কোথায় কী ভাবে সেটি পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
Nvidia গ্রাফিক্স, RGB ব্যাকলিট কি বোর্ড, সস্তায় গেমিং ল্যাপটপ আনল Xiaomi
সাধারণত এই ধরণের মহাকাশযানকে নিয়ন্ত্রিতভাবে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর বায়ুমণ্ডলে বিলীন করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণহীন হলেও প্রায় একই জায়গায় বিলীন হল তিয়াংগং ১।
তিয়াংগং ১ এর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার খবরে শিলমোহর দিয়েছে চিনা মহাকাশ সংস্থা, নাসা ও মার্কিন বায়ুসেনা।