সমাজ-সংসার-পাড়া-পড়শি থেকে দূরে পুরুলিয়ার গেঁগারা গ্রামের বাসিন্দা খেমি কালনাদি
এক নয়, দুই নয়, সাত- সাতটা বছর। শুধুমাত্র কুসংস্কারের খেসারত দিতে হচ্ছে মহিলাকে। সমাজ, সংসার,পাড়া,পড়শি থেকে দূরে পুরুলিয়ার গেঁগারা গ্রামের বাসিন্দা খেমি কালনাদি। ডাইনি অপবাদে তাকে একঘরে করেছে গ্রাম। অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়ায়নি পঞ্চায়েত,পুলিস কেউই।
ওয়েব ডেস্ক: এক নয়, দুই নয়, সাত- সাতটা বছর। শুধুমাত্র কুসংস্কারের খেসারত দিতে হচ্ছে মহিলাকে। সমাজ, সংসার,পাড়া,পড়শি থেকে দূরে পুরুলিয়ার গেঁগারা গ্রামের বাসিন্দা খেমি কালনাদি। ডাইনি অপবাদে তাকে একঘরে করেছে গ্রাম। অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়ায়নি পঞ্চায়েত,পুলিস কেউই।
পুরুলিয়ার গেঁগারা গ্রামের এক হতদরিদ্র আদিবাসী পরিবার। ফুলের মালা বেচে সংসার চালাতেন আদিবাসী মহিলা খেমি কালিনদি। তাও এখন প্রায় বন্ধ। খেমিকে দেখলেই গ্রামের সবাই এখন মুখ ঘোরায়। এককথায় সমাজ থেকে বয়কট করা হয়েছে রুখা মাটির দুস্থ আদিবাসী পরিবারটিকে।
মাতব্বরদের ফতোয়া। ডাইনি বিদ্যা শিখে গ্রামের ক্ষতি করছে খেমি কালনাদি। মহিলাকে একঘরে করে রাখতে হবে। ওঝা, গুণীন দিয়ে ভুত তাড়াতে হবে, খরচ হবে ৬০ হাজার। টাকার অঙ্ক শুনে মাথায় হাত গরিব পরিবারের। আদিবাসী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েতের থেকেও মেলেনি সাহায্য। মেলেনি পুলিসের সাহায্য। ঘরের দাওয়ায় বসে ঘেটু ফুলের মালা গাঁথেন আদিবাসী মহিলা খেমি কালনদি। হাতে বোনা ফুলের মালা ঘরেতেই শুকিয়ে নষ্ট হয়। কে কিনবে ফুলের মালা? মাতব্বরদের দেওয়া ফতোয়ায় গ্রামজুড়ে তাড়া করছে ডাইনি আতঙ্ক।