শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে পঞ্চায়েত মামলার রায়

আগামিকাল অর্থাত্ শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে জানিয়ে দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চ। আগামিকাল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি।

Updated By: Apr 19, 2018, 03:27 PM IST
শুক্রবার বিকাল ৪.৩০ মিনিটে পঞ্চায়েত মামলার রায়

নিজস্ব প্রতিবেদন:   পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত্ কী? আগামিকাল অর্থাত্ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে একথা জানান বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। আগামিকাল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কমিশনের সওয়ালে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।  রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলে আদালত।

এদিনের সওয়ালে কমিশন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য আদালতে জানান, ‘‘রমজান মাসে ভোট করা অসম্ভব। তার আগেই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।’’ এরপর বিচারপতি কমিশনকে ফের প্রশ্ন করেন, ‘‘সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? ৯ এপ্রিলের নির্দেশ (সুষ্ঠভাবে নির্বাচন করতে কমিশনকে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা  স্মরণ করায় শীর্ষ আদালত) কার্যকর করতে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?’’

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল, মনোনয়নের দিন বাড়িয়ে ভুল করেনি কমিশন : হাইকোর্ট

কমিশন জানায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে ব্যবস্থা নিয়েছি। অতিরিক্ত কয়েকটি মনোনয়ন জমা পড়েছে।’’

এদিন আদালতে নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্যের সওয়ালে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। হেসে বলেন, ‘‘আপিন তো অর্ধেক আইনজীবী হয়ে গেছেন। আইনকানুন তো ভালোই বুঝেছেন।’’

প্রসঙ্গত, গত সোমবার শুনানির সময়ে বিচারপতির কটাক্ষের মুখে পড়েন কমিশন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য। সেদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে এদিন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য বলেন, ‘‘আমি আইনজ্ঞ নই।’’ তাঁর এই উত্তরে আদালতের প্রশ্ন করেন, ‘‘তাহলে কি পঞ্চায়েত আইন না জেনেই তিনি পদে রয়েছেন?’’ সোমবার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরুর পরই কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্যের কথায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতিদ্বয়।  কিন্তু এদিন সওয়াল করে বিচারপতির প্রশংসা কুড়োলেন তিনি।

যদিও এদিন শুনানিতে পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। আদালত রাজ্যের প্রতিনিধি সৌরভ দাসকে প্রশ্ন করে, ‘‘ রাজ্য কেন কমিশনকে চিঠি লিখতে গেল? (  রাজ্যের সেই চিঠিতে,  মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কমিশনের বিজ্ঞপ্তিকে বেআইনি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।)’’

রাজ্যের প্রতিনিধি সৌরভ দাসকে হাইকোর্টের আরও প্রশ্ন, ‘‘চিঠিতে কেন বলা হল, কমিশনের নির্দেশ খারাপ? রাজ্য কেন উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করতে গেল?’’

এরপর সৌরভ দাস বলেন, ‘‘  নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় আমরা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি।  ভোট পিছলে গ্রামের অর্থনীতি ধাক্কা খাবে।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি থাকার কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উন্নয়নের কাজ আটকে পড়ে আছে।’’

পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত্ কী? ১ মে-তেই কি পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে?  এর উত্তর পেতে রাজ্যবাসী এখন আগামিকালের রায়ের দিকে তাকিয়ে।

.