স্বামী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম, ট্যাক্সিচালক খুনের নেপথ্যে তাঁর স্ত্রী-ই

প্রথমে সমীরের স্ত্রী মুধমিতা জানান, কিছুদিন আগে ট্যাক্সি চালানোর পাশাপাশি প্রোমোটিং ব্যবসায় যুক্ত হয়েছিলেন সমীর। তার থেকেই খুন বলে অনুমান করা হয় প্রথমে। কিন্তু সমীরের স্ত্রী মধুমিতার মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের।

Updated By: Apr 19, 2018, 11:47 AM IST
স্বামী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম, ট্যাক্সিচালক খুনের নেপথ্যে তাঁর স্ত্রী-ই

নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাতে খাবার খেতে বসেছিলেন। স্ত্রী ভাত দিয়েছিলেন ঘরের প্রধান দরজার ঠিক উল্টো দিকেই। দরজা খোলা ছিল। ভাত মুখে তুলতেই একটি গুলি এসে লেগেছিল তাঁর বুকে। আর তাতেই সব শেষ। চলতি মাসের ১০ তারিখ সোনারপুরের ট্যাক্সিচালক খুনের কিনারা করতে গিয়ে পুলিসের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। কিন্তু পরে জানা যায়, স্ত্রী বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হয়েছে সোনারপুরের ট্যাক্সি চালক সমীর মিস্ত্রি। প্রেমিকের সঙ্গে ছক করেই স্ত্রী মধুমিতা মিস্ত্রি তাঁর স্বামীকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত মামলা কি সু্প্রিম কোর্টে? ইঙ্গিত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

প্রথমে সমীরের স্ত্রী মুধমিতা জানান, কিছুদিন আগে ট্যাক্সি চালানোর পাশাপাশি প্রোমোটিং ব্যবসায় যুক্ত হয়েছিলেন সমীর। তার থেকেই খুন বলে অনুমান করা হয় প্রথমে। কিন্তু সমীরের স্ত্রী মধুমিতার মোবাইলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের।

তদন্তে জানা যায়, প্রেমিক চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রীতিমতো প্ল্যান করে সমীরকে খুন  করেছেন মধুমিতা। সোনারপুরের ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা চন্দনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেম ছিল মধুমিতার। মধুমিতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে কাজ করতেন। কাজে যাতায়াতের পথে সোনারপুর স্টেশনেই চন্দনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তারপর ঘনিষ্ঠতা। জানা যায়, সমীর ইদানীং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। সেকারণে সমীরকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন মধুমিতা। বারুইপুর আদালতে ডিভোর্সে মামলাও চলছিল। কিন্তু ততদিন অপেক্ষা করতে পারেননি মধুমিতা-চন্দন।

অভিযুক্ত মধুমিতা মিস্ত্রি ও চন্দন মণ্ডল

আরও পড়ুন:  পঞ্চায়েত আইন না জেনেই তিনি পদে রয়েছেন? কমিশন সচিবকে কটাক্ষ ডিভিশন বেঞ্চের

চন্দনের সঙ্গে মিলে স্বামীকেই পথ থেকে সরানোর প্ল্যান করে পেলেন মধুমিতা। কোনওদিনই রাতে ঘরের দরজা খুলে খেতে বসতেন না সমীর-মধুমিতারা। কিন্তু ১০ এপ্রিল অর্থাত্ খুনের দিন সেটাই করেছিলেন মধুমিতা। ঘরের দরজা খোলা ছিল। আর উল্টোদিক করে সমীরকে খেতে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সুযোগেই চন্দন গুলি করে পালায়। পুলিস জানিয়েছে, খুনের দিন বেশ কয়েকবার চন্দনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মধুমিতার। মধুমিতা ও তাঁর প্রেমিক চন্দনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। চন্দনের বাড়ি গোসাবাতে। সেখানেই তাঁর স্ত্রী ও ১ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। 

 

.