পঞ্চায়েত গণনা: আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি
মোট ২৯১ টি গণনা কেন্দ্র থাকছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের ‘জয়’এর ফলে ৩৪ শতাংশ আসনে ভোটগণনার প্রয়োজন হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অনেক মামলা মোকদ্দমা পেরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হল। এবার নজর ভোটগণনায়। আজ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হবে সকাল ৮ টা থেকে। মোট ২৯১ টি গণনা কেন্দ্র থাকছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের ‘জয়’এর ফলে ৩৪ শতাংশ আসনে ভোটগণনার প্রয়োজন হয়নি। ২-৩ রাউন্ডের মধ্যে প্রতি বুথে গণনা শেষ করতে বিশেষ তত্পর প্রশাসন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে গণনাকেন্দ্রে বাড়ানো হতে পারে টেবিল।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট-ভোটের ভবিষ্যত্ বারবার হোঁচট খেয়েছে আদালতে। প্রথমবার ভোট গ্রহণের দিন বাতিল হয়ে যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪ মে ভোট করতে তত্পর হয় রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। মোট ৩৮ হাজার ৫২৯ টি আসনে সোমবার ভোটগ্রহণ হয়। কিন্তু সেদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট-অশান্তির অভিযোগ ওঠে। পুনর্নির্বাচনের দাবিতে কমিশনের কাছে জমা পড়ে ৫০০টি সুপারিশ। বুধবার কমিশন ৫৭২টি আসনে পুনর্নির্বাচন করায়।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনাতেও থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা
ভোটগণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এক ঝলকে জেনে নিন, নিরাপত্তা রক্ষার্থে যে কমিশনের পদক্ষেপগুলি-
- প্রত্যেক গণনাকেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
- প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকছে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী।
- গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা
- গণনাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারে থাকবে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা, মোবাইল বাইরে জমা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে হবে
- যদিও এক্ষেত্রে কয়েকজন নির্বাচন আধিকারিককে ছাড় দেওয়া হয়েছে
- ২-৩ রাউন্ডের মধ্যে গণনা শেষ করতে জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে গণনাকেন্দ্রে টেবিলের সংখ্যাও বাড়াতে পারে কমিশন।
- গণনা শেষ হওয়ার আগেই কোনও বিজয়মিছিল করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা শেষ হতে মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি জায়গায় ফলঘোষণা হয় পরের দিন। এবার কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে গ্রাম বাংলা।