Khanakul Flood: বৃষ্টিতে ভাসছে খানাকুল, ১১ জনকে উদ্ধার সেনাকপ্টারের
সোমবার সকাল থেকেই বাঁধের ধারে আটকে থাকা স্থানীয় মানুষদের উদ্ধারে তৎপর সেনাবাহিনীর কপ্টার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় বৃষ্টিপাত চলছেই। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। এমনিতেই বৃষ্টিতে ভাসছে ঘরবাড়ি। জলের চাপ বাড়ছে নদীগুলিতে। সেই সঙ্গে চাপ কমাতে কোথাও জল ছেড়ে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত খানাকুলের একাধিক গ্রাম। হু হু করে জল ঢুকছে গ্রামে।
সোমবার সকাল থেকেই বাঁধের ধারে আটকে থাকা স্থানীয় মানুষদের উদ্ধারে তৎপর সেনাবাহিনীর কপ্টার। এই প্রথম আরামবাগে সেনাবাহিনীর কপ্টার নামিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। খানাকুলের ধান্যঘরির বেড়াপাড়ার ১১ জনকে উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই নিয়ে আসা হয়েছে আরামবাগের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১১ জনের মধ্যে ৩জন মহিলাকে, ৮ জন শিশু ও কিশোর।
আরও পড়ুন, Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে ভ্যাপসা গরম, ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে উত্তর
একটানা জলের তলায় হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় বন্যা পরিস্থিতি খানাকুলে। দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকা। পাঁশকুড়া, ঘাটালের অবস্থাও ঘোরালো। জাতীয় সড়কে স্তব্ধ যান চলাচল। আরামবাগের বন্দিপুরে দারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। জলবন্দি মানুষজনকে উদ্ধার করতে গিয়েই ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
অন্যদিকে, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ডিভিসি (DVC) থেকে জল ছাড়ার কারণে জল বাড়ছে ভাগীরথী নদীতে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কালনার (kalna) নদীর দুই পাড়ের ভাঙনও। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জালুইডাঙা এবং নদীর ওপারে মনমোহনপুর ও কিশোরীগঞ্জ এলাকার মানুষজন ভাগীরথীর ভাঙনে জর্জরিত। নদীজলে তলিয়ে গিয়েছে বিঘের পর বিঘে চাষজমি। প্রচুর ঘরবাড়ি। দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ শুরু না করলে নদীর জলে তলিয়ে যেতে পারে সংলগ্ন গ্রাম এবং কাটোয়া-হাওড়া রেললাইনও।