রাজ্যের লাখ লাখ বেকার জানেন না তাদের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড-র কোনও অস্তিত্ব নেই : শমীক

কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে না দেওয়ার অভিযোগও তোলেন শমীক ভট্টাচার্য

Updated By: Dec 28, 2020, 06:57 PM IST
রাজ্যের লাখ লাখ বেকার জানেন না তাদের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড-র কোনও অস্তিত্ব নেই : শমীক

নিজস্ব প্রতিবেদন: এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে(West Bengal)। রাজ্যের কয়েক লক্ষ যুবক যুবতী এক্সচেঞ্জে নাম লিখিয়ে যে কার্ড করেছিলেন তাও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার গুরুতর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ বেকারের এটা জানা নেই যে যাঁরা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নাম লিখিয়েছিলেন, বছরের পর বছর সেই কার্ড নিয়ে কাজের সন্ধান করেছেন সেইসব কার্ডে আর কোনও অস্তিত্ব নেই। ২০১৬ সালে থেকে ওইসব কার্ডের কোনও হদিস নেই। ওইসব কার্ড, এমনকি কার্ডগুলি যেসব ক্যাবিনেটে ছিল তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা জমা পড়েছে সরকারি কোষাগারে। তাদের কার্ডের যে অস্তিত্ব নেই জানেন না রাজ্যের লাখ লাখ যুবক যুবতী।

আরও পড়ুন-'বিশ্বাসঘাতক' মন্তব্যে আহত! দল ছাড়লেন পূর্ব মেদিনীপুর TMCP সভানেত্রী

শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, এমপ্লমেন্ট এক্সচেঞ্চ তুলে দেওয়া হল। এর পরিবর্তে এখানে একটি Job Bank তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রের পরিকল্পনা ছিল প্রতিটি এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জকে মডেল কেরিয়ার সেন্টারে পরিণত করতে হবে। এর কাজ হবে, সরকার যখন বুঝতে পারছে তার একার পক্ষে রাজ্যের এত বেকারকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয় তখন বেকারদের স্কিল ডেভলপ করা বা নিয়োগ সংস্থার সঙ্গে যোগাযাগ করিয়ে দেওয়া। এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। বিহারেও মডেল কেরিয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের মধ্যে দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলায় তা করা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন-বিজেপিতেই থাকছেন না তৃণমূলে? নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন Shantanu Thakur

কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে চালু করতে না দেওয়ার অভিযোগও তোলেন শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যে বিজেপি নেতা বলেন, কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যে চালু হতে না দেওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তার থেকে বড় ঘটনা হল আমাদের রাজ্যের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের বর্তমান কার্যকলাপ। রাজ্য সরকারের ডাইরেক্টরেট অব এমপ্লয়মেন্টের সদর দফতরে একটি এমপ্লমেন্ট এক্সচেঞ্জ ছিল। সেখানে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ, বিএডদের একটি বিশেষ কার্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালে ওই এক্সচেঞ্জ নাম নথিভূক্ত ছিল রাজ্যের ১ লাখ যুবক যুবতীর নাম। একদিন ওইসব বেকারদের তথ্য হারিয়ে গেল। ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে হয়তো সরকার বলতে রাজ্যে নথিভূক্ত বেকারের সংখ্যা শূন্য। 

মডেল কেরিয়ার সেন্টারে নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, কলকাতায় এরকম ৮টি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ওইসব জায়গায় ঝাঁ চকচকে অফিস তৈরি করা হয়েছে। একজন কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও কাজ হয় না। দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বিহারও এরকম সেন্টারকে কাজে লাগিয়েছে।

.