বনগাঁ পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ তারাই, নথি প্রকাশ করে দাবি বিজেপির
বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের ১১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৯ জনকে পরে পুরভবনে ঢুকতে দেওয়া হলেও একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। তারই মধ্যে আস্থা ভোট শেষ করে ফেলে তৃণমূল।
নিজস্ব প্রতিবেদন:বনগাঁ পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তাঁদেরই। প্রমাণ করতে মঙ্গলবারের আস্থাভোটের প্রস্তাবের প্রতিলিপি প্রকাশ করল বিজেপি। তাদের দাবি, এই প্রস্তাবে সই রয়েছে ১১ জন কাউন্সিলরের। রয়েছে একজিকিউটিভ অফিসারের সই ও সিল।
মঙ্গলবার বনগাঁ পুরসভার আস্থাভোট নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধে। বিজেপি কাউন্সিলররা পুরভবনে ঢুকতে গেলে পুলিস বাধা দেয়। যে ২ বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা ছিল তাদের পুরভবনে ঢুকতেই দেয়নি পুলিস।
বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের ১১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৯ জনকে পরে পুরভবনে ঢুকতে দেওয়া হলেও একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। তারই মধ্যে আস্থা ভোট শেষ করে ফেলে তৃণমূল।
তৃণমূলের পালটা দাবি, বেলা ৩টেয় নির্ধারিত সময় পুরসভায় পৌঁছতে পারেননি বিজেপির কাউন্সিলররা। তার পর ১৫ মিনিট নিয়ম মেনে অপেক্ষা করা হয়। তার পরও দেখা মেলেনি বিজেপি কাউন্সিলরদের। এর পর নিয়ম মেনে শুরু হয় ভোটপ্রক্রিয়া। তাতে ১০ - ০ ভোটে খারিজ হয় অনাস্থা প্রস্তাব। তৃণমূলের ৯ জন ছাড়াও প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন ১ কংগ্রেস কাউন্সিলর।
বিজেপির দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে প্রস্তাব পেশ করার কথা তাঁদেরই। সেক্ষেত্রে বিজেপি কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হতেই পারে না।
দিন গড়ালেও কাটল না বনগাঁর জট, পুরসভা কার, মুখে কুলুপ একজিকিউটিভ অফিসারের
একপ্রস্থ ধুন্ধুমারের পর বিকেল ৩.৩০ মিনিটের পরে পুরভবনে প্রবেশ করে বিজেপি কাউন্সিলররা। একজিকিউটিভ আধিকারিকের সামনে অনাস্থা পেশ করেন তাঁরা। সেই নথি প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১১ জন কাউন্সিলর অনাস্থার পক্ষে ভোটে দিয়েছেন। মিটিংয়ের স্থান হিসাবে উল্লেখ রয়েছে EO সাহেবের কক্ষ। সময় লিখেছে উল্লেখ রয়েছে ৩.৪৫ মিনিট। রয়েছে EO সাহেবের সই ও শিলমোহর। তবে নেই মিটিংয়ের কোনও ক্রমিক সংখ্যা।
এই কাগজ দেখিয়ে বিজেপির দাবি, বনগাঁ পুরসভা দখল করেছে তারাই। এই নথি তারা আগামিকালই হাইকোর্টে জমা দেবে বলেও জানিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।