Malbazar: হু হু করে নামছে জলস্তর! শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়, কুয়ো...

Malbazar: শিবরাত্রি পার হতেই গরম পড়তে শুরু করেছে। গত ৪-৫ মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই, চলছে শুখা মরসুম। শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়, কুয়ো। ডুয়ার্সের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে জলসংকট। সমস্যার মুখে পড়েছে চা-বাগান থেকে কৃষিক্ষেত্র, গৃহস্থ থেকে বনের পশুপাখি।

Updated By: Mar 18, 2024, 06:26 PM IST
Malbazar: হু হু করে নামছে জলস্তর! শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়, কুয়ো...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিবরাত্রি পার হতেই গরম পড়তে শুরু করেছে গ্রামবাংলায়। গত ৪-৫ মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই, চলছে শুখা মরসুম। শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়, কুয়ো। ডুয়ার্সের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে জলসংকট। সমস্যার মুখে পড়েছে চা-বাগান থেকে কৃষিক্ষেত্র, গৃহস্থ থেকে বনের পশুপাখি।

আরও পড়ুন: MIRV-Capability: ভারতের নতুন অস্ত্রে ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান? কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে জবাব দিতে চাইছে তারা?

সমস্যা মেটাতে অনেকেই কুয়োর গভীরতা বাড়াতে চাইছেন। তাই কুয়োর ভিতরে অতিরিক্ত রিং বসাচ্ছেন। পুকুরের কাদা তুলে ফেলে জলের সন্ধানে তৎপর হয়ে হয়েছেন কেউ। একটা সময় ছিল, যখন ডুয়ার্স ছিল সবুজে ঘেরা, বর্ষায় গভীর মেঘের ছায়াঢাকা। মাঘ ফাল্গুনেও বৃষ্টির দেখা পাওয়া যেত এখানে। বনাঞ্চলের ভিতরেও মিলত জলাশয়, তা নানা ভাবে পুষ্ট করত ইকোলজিকে।

ইদানীং, ক্রমাগত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। গত এক দশক ধরে দেখা যাচ্ছে, মালবাজার, ওদলাবাড়ি, ডামডিম-সহ আশপাশ এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ জলের স্তর ক্রমাগত নীচে নামছে। মার্চ মাস পড়তেই শুকিয়ে যাচ্ছে কুয়ো ও জলাশয়। ইতিমধ্যেই মালবাজার শহরের ১, ২, ৩, ৪, ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বহু বাড়িতে কুয়ো শুকিয়ে গিয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এক প্রবীণ নাগরিক জানান, ২০ বছর আগে কুড়ি ফুট খুঁড়লেই জল পাওয়া যেত, এখন ৩০ ফুট গভীর কুয়োতেও জল কই?

ডামডিম এলাকায় দেখা গেল তিনজন মিস্ত্রি কুয়ো সাফাই করে রিং বসাচ্ছেন। তাঁরা জানালেন, এখন প্রতিদিন তিন থেকে চারটি বাড়িতে কুয়ো সাফ করতে হচ্ছে, রিং বসাতে হচ্ছে। এই সময় চা-গাছে নতুন পাতা আসে। বৃষ্টি না হলে ব্যয়বহুল সেচ দিতে হয়। মালনদী, রানিচেরা, মিনগ্লাস, চ্যাংমারি-সহ বিভিন্ন চা-বাগানে দেখা গেল নদী ও ঝোরার জল আটকে চা-বাগানে সেচ দেওয়া হচ্ছে। 

সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। সমস্যায় পড়েছে বনাঞ্চলের পশুপাখিরাও। জলের খোঁজে এদিক ওদিক হানা দিচ্ছে তারা। মালবাজারের পরিবেশপ্রেমী স্বরূপ মিত্র জানান, জলের চাহিদা গাছপালা, মানুষ থেকে বনের পশুপাখিদেরও রয়েছে। জলের স্তর যেভাবে নীচে নামছে তা উদ্বেগের। এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। জলস্তর ঠিক রাখতে বৃষ্টির জল ধরে রাখা-সহ জলাশয় খনন করা দরকার। না হলে আগামী দিনে আরও সমস্যা বাড়বে।

আরও পড়ুন: World War III: এবার তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে চলল! কেন একথা বললেন পুতিন?

ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌমিতা ঘোষ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত জলের স্তর অনেক নীচে নেমে গিয়েছে। বৃষ্টি নেই। বেশ কিছু নদীতে অবৈধ খননের কারণে আশেপাশের বাড়ির কুয়ো, পুকুরের জলও শুকিয়ে যাচ্ছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.