বাগানেই পচছে কোটি টাকার দার্জিলিং চা-পাতা! উদ্বেগে বাগানের মালিকরা

দার্জিলিং চা-বাগান সংগঠনের কর্তা বিনোদ মোহনের দাবি, "এর জেরে আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে পাহাড়ের চা-শিল্প

Updated By: Apr 5, 2020, 07:34 PM IST
বাগানেই পচছে কোটি টাকার দার্জিলিং চা-পাতা! উদ্বেগে বাগানের মালিকরা
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন-  লকডাউনে এক লহমায় থমকে গেছে গোটা দেশ। প্রভাব পড়েছে আসমুদ্রহিমাচল। কবলে দার্জিলিংয়ের সুবিখ্যাত চা-শিল্পেরও। শনিবার চা-বাগান মালিক সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, বাগানেই পড়ে থেকে পচে যাচ্ছে অধিকাংশ চা-পাতা।  এই সময়ই প্রথম চা-পাতা ওঠে দার্জিলিংয়ের বাগানগুলি থেকে। মরসুমের প্রথম এই পাতা থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ আয় করেন বাগান মালিকরা। দেশ-বিদেশে খুবই জনপ্রিয় এই মরসুমের প্রথম চা-পাতা। তাই চাহিদাও তুঙ্গে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে বাগান থেকে তোলা সম্ভব হচ্ছে না ওই পাতা। বাগানেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ফলে এখন বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাগান মালিকরা।

দার্জিলিং চা-বাগান সংগঠনের কর্তা বিনোদ মোহনের দাবি, "এর জেরে আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে পাহাড়ের চা-শিল্প। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ। বেশিরভাগ বাগান শুকিয়ে গিয়েছে।" সারা বছরে মোট ৮ লক্ষ কিলোগ্রাম চা উৎপাদন করে দার্জিলিং। মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ আসে এই মরসুমের প্রথম চা-পাতা থেকে। যা বাগানেই পচছে এখন। চা পাতা বাগান থেকে তুলতে না পারায় তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মালিকরা।

আরও পড়ুন- চেন্নাইয়ে ডোর-টু-ডোর করোনা স্ক্রিনিং করবে  তামিলনাড়ু সরকার, শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক

দার্জিলিং চা-বাগান সংগঠনের প্রাক্তন কর্তা অশোক লোহিয়া  বলেছেন, " অভিজাত এই চা পাতার উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটলে তার প্রভাব চা-শিল্পে পড়বেই। সংগঠনের দাবি, "এমনিতে চা শিল্পে মন্দা অব্যাহত। তার মধ্যেও শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়েছে কিছু বাগান মালিক। তবে এমন অনেক বাগান মালিক আছেন, যাঁদের পক্ষে সরকারি শ্রমবিধি মেনে বকেয়া মেটানো মুশকিল হয়ে পড়ছে।"

 পাহাড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮৭টি বাগান রয়েছে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ২২। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ টি বাগান, শ্রমিকদের বকেয়া মেটাতে পেরেছে। গ্লেনবার্ন, মকাইবাড়ি, আম্বিয়ক, তিনধারিয়া, জাংপাড়া চা-বাগান শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়েছে। কিন্তু অন্য বাগানগুলির পক্ষে বকেয়া মেটানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। রাজ্য পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, লকডাউনের জেরে কিছু সমস্যা হচ্ছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নজরে রাখছেন। ১৪ তারিখের পর সবই পুনর্বিবেচনা করে দেখা হবে। রাজ্য ও কেন্দ্র মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

.