দেহে আটকে 'গুলি',হাসপাতালে ভর্তি উত্তরকন্যা অভিযান ফেরত বিজেপির যুব নেতা
উলেন রায়ের পর কি আরো এক বুলেটবিদ্ধ বিজেপি নেতার হদিস মিলল! বাড়ছে রহস্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ড্রেসিং করতে গিয়ে জানা গেল দেহে আটকে আছে 'গুলি'। সেই 'গুলি' বের করতে হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিজেপির যুব নেতা। ফলে বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে উলেন রায়ের পর কি আরো এক বুলেটবিদ্ধ বিজেপি নেতার হদিস মিলল! বাড়ছে রহস্য।
হলদিবাড়িতে থাকেন অমরদীপ রায় ওরফে রাহুল রায়। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার হলদিবাড়ি টাউন মন্ডলের সভাপতি। গত ৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা ঘেরাও কর্মসূচি সফল করতে যুব মোর্চার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ফুলবাড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন- বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে Mamata, সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস
ফুলবাড়ি থেকে একে একে ব্যারিকেড ভেঙে উত্তরকন্যার দিকেএগোচ্ছিল যুব মোর্চার মিছিল। সেই মিছিলে ছিলেন অমরদীপও। এরপর শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ। শুরু হয় টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটানো। তাতেও বিজেপি কর্মীরা না দমলে শুরু হয় লাঠিচার্য ও জলকামান দাগা। বিজেপির অভিযোগ, পুলিস গুলিও ছোড়ে। যদিও ওই দিনই পুলিসের তরফে জানান হয় কোনও গুলি চলেনি। জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই দিনের ঘটনা নিয়ে অমরদীপ রায় বলেন, আমরা এগোতেই পুলিশ ছুটে আসে। আমি প্রতিবাদ করতেই পুলিশ রবার বুলেট চালায়। রবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি হই। এরপর আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ আমি হলদিবাড়ি হাসপাতালে ডেসিং করাতে যাই। সেখান থেকে আমাকে এক্স-রে করতে বললে আমি এক্স-রে করাই। তখন সেই রিপোর্টে দেখা যায় আমার হাতে ও বুকে গুলি আটকে আছে। তাই আমি আজ রাতে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসি। আমাকে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করে নেয়।
আরও পড়ুন- 'পুরনো দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করো', দুর্গাপুরে তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলরদের বার্তা মমতার
অমরদীপের দাবি নিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক সৌমেন মন্ডল টেলিফোনে জানান, অমরদীপ রায়কে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে। তার দেহে 'ছররা গুলি' রয়েছে বলে এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তা কতটা দেহের ভেতরে আছে তা জানাতে সি আর্ম মেশিনের সাহায্য নিতে অর্থোপেডিক্স এর কাছে রেফার করা হয়েছে।