পয়লা মে থেকে টিকাকরণে অনিশ্চয়তা! রাজ্যের পদক্ষেপ চায় বেসরকারি হাসপাতাল
৫ মের পর যে তাঁরা টিকাকরণ শুরু করতে পারবে সে বিষয়েও তারা নিশ্চিত নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু। বিপুল পরিমাণে প্রয়োজন টিকা। কিন্তু সেই বিপুল টিকা মজুতের পরিকাঠামো নেই। সরকারের সহযোগিতা না পেলে টিকাকরণ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল।
এদিকে ভ্যাকসিন নিয়ে জেরবার অবস্থা। ভোগান্তি কম নয়। প্রথম ডোজ পেলেও মিলছে না দ্বিতীয় ডোজ। অথবা প্রথম ডোজ পেতে কাল ঘাম ছুটে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে দুটি দিক হল- বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জানাচ্ছে, স্বাস্থ্য দফতর থেকেই ফাস্ট ডোজ দেওয়া বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তার কারণ, কম রয়েছে ভ্যাকসিনে জোগান।
অন্যদিকে ৩০ তারিখের পর যেটুকু ভ্যাকসিন মজুত থাকবে তাদের কাছে, সেকেন্ড ডোজ দেওয়ার পর সেগুলি ফেরত দিয়ে দিতে হবে। কাজেই ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত এমনিতেও কোনও ভ্যাকসিন দিতে তাঁরা পারবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ৫ মের পর যে তাঁরা টিকাকরণ শুরু করতে পারবে সে বিষয়েও তারা নিশ্চিত নয়।
কারণ, তাদের সরাসরি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হবে। কোভিশিল্ড কিনতে হবে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে। কোভ্যাকসিন কিনতে হবে ভারত বায়োটেকের থেকে। এই ভ্যাকসিন কেনা সময় সাপেক্ষ বলে জানাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। সেই ভ্যাকসিন রাখতে যথাযথ কোল্ড চেইন পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই কোল্ড চেইনের যথাযথ পরিকাঠামো নেই বলে জানাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল গুলি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসরকার যদি পদক্ষেপ না করে তাহলে ৫ তারিখের পরও টিকাকরণ কীভাবে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। বলা যায়, দিশাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছে তারা।
এখনই দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন নিতে আগের দিন রাত থেকে লাইন দিচ্ছে মানুষ। সেখানে বেসরকারি হাসপাতাল ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করলে চাপ বাড়বে। তার উপর ১ মে থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার সংখ্যাও বেড়ে যাবে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকলে কী সমস্যা হতে পারে তাঁর আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এখনই।
আরও পড়ুন: ১৮ এর উর্ধ্বে টিকাকরণ, আজ থেকে শুরু Registration, কীভাবে করবেন? জেনে নিন
ওয়াকিবহাল মহল ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বারবার করে কেন দেখা যাচ্ছে পরিকল্পনার অভাব! পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করে, কোনও পরিকল্পনা না করে হঠাৎ সিদ্ধান্তে এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করছে। এখন দেখা যাক, ১ তারিখ থেকে কীভাবে রাজ্যে এগিয়ে যায় টিকাকরণ কর্মসূচি।