শুধু বাড়িঘরই নয়, আগুনে খাক হয়ে গিয়েছিল ২ টি মেয়ের বিয়ের স্বপ্নও! বারিধারা হলেন নয়না

বড় দিদির মত কল্পনা ও জ্যোত্স্নার হাতে নয়না তুলে দিলেন বিয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম। দিলেন বিয়ের বেনারসি। নিজের মা এবং দিদির দেওয়া দুজোড়া কানের দুল, নাকছাবি, দুই জামাইয়ের জন্য হীরের আংটি, বিয়ের পাঞ্জাবী, দুজোড়া হাতঘড়ির সেট, জুতো, দানের থালা, গ্লাস, বাটি, বালতি, মগ সবকিছু।

Updated By: Mar 16, 2018, 09:46 PM IST
 শুধু বাড়িঘরই নয়, আগুনে খাক হয়ে গিয়েছিল ২ টি মেয়ের বিয়ের স্বপ্নও! বারিধারা হলেন নয়না

নিজস্ব প্রতিবেদন:  আগুন গিলতে বসেছিল দু দুটো বিয়ে। বৃষ্টির বারিধারা হয়ে নেমে এল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িয়ে দেওয়া  হাত। ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত প্রতিবেদন দেখে, প্রতিনিধির কাছে খবর পেয়ে এগিয়ে এলেন বিধায়ক। আর্মেনিয়ান ঘাটের কল্পনা, জ্যোত্স্নাদের বিয়ের যাবতীয় জিনিস দিলেন। এমনকি ভোজের খরচও। পাশাপাশি দুই বোনকে ২০ হাজার টাকা করেও দিয়েছেন নয়না।

আরও পড়ুন: রবিবারই ছিল বিয়ে! সর্বগ্রাসী আগুনে উজাড় সংসার বাঁধার স্বপ্ন

রবিবার ছিল দুই মেয়ের বিয়ে। দিনেদুপুরের আগুনে মুহূর্তে ছাই হয়ে গিয়েছিল আর্মেনিয়ান ঘাটের ময়না বিবির ঘর। । কেঁদে ককিয়ে যাওয়া মুখ গুলো বারবার ভেসে উঠেছে ২৪ ঘণ্টার পর্দায়। মন কেঁদেছে সবার। নাড়া দিয়েছে বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

২৪ ঘণ্টা পর বদলে গেল পুরো ছবিটাই। ময়না বিবি আর তাঁর দুই মেয়ে কল্পনা ও জ্যোত্স্না এলেন বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বড় দিদির মত কল্পনা ও জ্যোত্স্নার হাতে নয়না তুলে দিলেন বিয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম। দিলেন বিয়ের বেনারসি। নিজের মা এবং দিদির দেওয়া দুজোড়া কানের দুল, নাকছাবি, দুই জামাইয়ের জন্য হীরের আংটি, বিয়ের পাঞ্জাবী, দুজোড়া হাতঘড়ির সেট, জুতো, দানের থালা, গ্লাস, বাটি, বালতি, মগ সবকিছু।

আরও পড়ুন: রাসায়নিক গুদামে বিধ্বংসী আগুন, ৭০টি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই

২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি প্রীতম দের  প্রতিবেদন দেখেই এগিয়ে এসেছেন নয়না। ময়না বিবির ইচ্ছে ছিল দুই মেয়ের বিয়েতে চিকেন বিরিয়ানি খাওয়াবেন ৩০ জনকে। ১০০ জনের চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন নয়না। রবিবারই বিয়ে হবে। ময়না বিবির পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির সামনেই ছাউনি টাঙানোর ব্যবস্থাও নয়নার।

কল্পনা আর জ্যোত্স্নার রেজিস্ট্রিরও ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। আর্মেনিয়ান ঘাট কিন্তু তাঁর বিধানসভা এলাকায় পড়ে না। তবু ২৪ ঘণ্টার মন ছুঁয়ে যাওয়া প্রতিবেদন দেখে এগিয়ে এসেছেন তৃণমূল বিধায়ক।

.