পরিবহণ ধর্মঘটে রাস্তা থেকে গায়েব বেসরকারি বাস, নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা
এদিন বিভিন্ন জেলায় বড় বাসস্ট্যান্ড গুলিতে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ছুটির মেজাজে ছিলেন বাসচালক ও কর্মীরা। বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল থেকে চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, পরিস্থিতি সব জায়গায় প্রায় একই রকম। বেসরকারি বাসে দেখা নেই। সরকারি বাস হাতে গোনা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশব্যাপী পরিবহণ ধর্মঘটে ভাল প্রভাব পড়েছে গোটা রাজ্যে। বামপন্থী ও কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের ডাকে এই ধর্মঘটে জেলায় জেলায় বন্ধ দূরপাল্লার বাস পরিষেবা। বাস বন্ধ থাকায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তবে স্বল্প দূরত্বের কিছু বাস কয়েকটি জায়গায় চলছে। তবে বাস ধর্মঘটের তেমন প্রভাব কলকাতায় পড়েনি।
প্রস্তাবিত মোটর ভেহিকলস বিল প্রত্যাহার ও গাড়ি বিমার খরচ কমানোর দাবিতে মঙ্গলবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলি। যার ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন ভোগান্ত চলছে দেশজুড়ে। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও।
এদিন বিভিন্ন জেলায় বড় বাসস্ট্যান্ড গুলিতে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ছুটির মেজাজে ছিলেন বাসচালক ও কর্মীরা। বাঁকুড়া, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল থেকে চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, পরিস্থিতি সব জায়গায় প্রায় একই রকম। বেসরকারি বাসে দেখা নেই। সরকারি বাস হাতে গোনা। তাতে ঠাঁই পেতে গিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের।
একই অবস্থা উত্তরবঙ্গেও কোচবিহার, শিলিগুড়ি থেকে ইসলামপুর, সব জায়গাতেই শুনশান বাসস্ট্যান্ড। সরকারি বাসের দেখা মিলেছে হাতে গোনা।
একই অবস্থা কলকাতা লাগোয়া হাওড়ার সাঁতরাগাছিরও। সাঁতরাগাছি থেকে মঙ্গলবার সকালে নিত্যযাত্রীরা অফিসে পৌঁছতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। বেসরকারি বাস নেই। সকালে সরকারি বাসের দেখা না-মিললেও বেলা বাড়তে কয়েকটি বাস দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধি।
দেখুন কীভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকে চিকিত্সককে কিল, ঘুষি, চড় মারলেন রোগীর আত্মীয়রা...
কী নিয়ে বিতর্ক?
পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের দাবি, প্রস্তাবিত বিল পাশ হলে গণপরিবহণ ক্ষেত্রে বড় বেসরকারি সংস্থাগুলির দখল বাড়বে। তাছাড়া পরিবহণ ক্ষেত্রে রাজ্যের বেশ কিছু ক্ষমতা চলে যাবে কেন্দ্রের হাতে। এছাড়া বাধ্যতামূলক হতে চলেছে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির যন্ত্রাংশের ব্যবহার।
পরিবহণ শ্রমিকদের মতে, এই বিল আইনে রূপান্তরিত হলে ধুঁকতে থাকা পরিবহণ শিল্প আরও রুগ্ন হয়ে পড়বে। সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে বাহনের যন্ত্রাংশ তৈরির ছোট কারখানাগুলি। যার ফলে কাজ হারাবেন কয়েক লক্ষ মানুষ।
সরকারের দাবি, দেশের পরিবহণ শিল্পকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া আইন না-আনলে পথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সেজন্যই আনা হয়েছে নতুন বিল।