অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে মোদী-কে নিশানা করে কবিতা লিখলেন মমতা

পদবী, পিতৃপরিচয়, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের জাত-পাতের রাজনীতির বিরুদ্ধেই বারেবারে প্রশ্ন তুলেছেন ‘কবি মমতা’।

Updated By: Aug 6, 2018, 11:45 PM IST
অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে মোদী-কে নিশানা করে কবিতা লিখলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: অসম ইস্যুতে কলম ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি তিন ভাষাতেই কবিতা লিখলেন ‘অগ্নিকন্যা’। ‘পরিচয়’ নামের এই কবিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত নিশানা করলেন দেশের শাসক দলকেই। নাগরিক পঞ্জিকরণের নামে অসমের ৪০ লাখ মানুষকে তাঁদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বারেবারে এই অভিযোগই তুলেছে বিরোধীরা। সেই অস্ত্রেই এবার আরও একবার শান দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন ‘প্রতিবাদ করলেই তুমি বিরোধী’।

আরও পড়ুন- দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ওরা : মমতা

কবিতার শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলম সরব হয়েছে অসমের নাগরিক পঞ্জিকরণ  নিয়ে। পদবী, পিতৃপরিচয়, ভাষা, ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের জাত-পাতের রাজনীতির বিরুদ্ধেই বারেবারে প্রশ্ন তুলেছেন ‘কবি মমতা’। এখানেই শেষ নয়, এই কবিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান নিয়েও তীব্র শ্লেষ রয়েছে। এমনকী বাদ যায়নি ডিজিটাল ভারতের ‘আধার’ যোগের বিষয়ও।

সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে যেভাবে দলিত, খ্রিস্টান-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আঘাত হানা হয়েছে সেবিষয়েও কড়া নিন্দা রয়েছে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কবিতায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে বিরোধীদের ধমকে-চমকে রাখার বিষয়টিও কবিতার একেবারে শেষ পঙ্ক্তি-তে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- সেনাবাহিনীতে ছিলেন ৩০ বছর, আজ জানলেন ভারতীয়ই নন!

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই কবিতা ইতিমধ্যেই ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল লিখনে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এই কবিতা শেয়ার করছেন।

আরও পড়ুন- 'নিজের দেশেই উদ্বাস্তু' ৪০ লাখ বাঙালি, কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার

তবে ‘নিন্দুক’দের অনেকেই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিবাদী কবিতার পাল্টা জবাব হিসেবে কবি শঙ্খ ঘোষের উদাহরণ টেনে আনছেন।

 

পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের তথাকথিত ‘উন্নয়ন’ এবং ‘বীরভূমের সন্ত্রাস’ নিয়ে কবিতা লিখে শাসকের রোষানলে পড়তে হয়েছিল ‘জ্ঞানপীঠ’ শঙ্খ ঘোষকে। এমনকী কবিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করতেও শোনা যায় রাজ্যের শাসক দলের নেতা অনুব্রত মন্ডলকে। প্রগতিশীল সমাজ এবং সাহিত্য মহলে যা নিয়ে কড়া সমালোচনা হলেও দলের নেতার বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে দলের নেতা-কর্মীদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল সু্প্রিমো। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে প্রতিবাদী সুর শুনে বিরোধীদের কেউ কেউ বলছে, ‘ভূতের মুখে রাম নাম’!

.