জয়প্রকাশকে লাথি-মারধর! নিগ্রহের ঘটনায় সংসদে সোচ্চার হবেন মুকুল রায়
ইতিমধ্যেই ঘটনার যাবতীয় প্রমাণপত্র জোগাড় করেছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। জানিয়েছেন আজ রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উপনির্বাচনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি অব্যাহত। করিমপুরের ঘিয়াঘাটে জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধরের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ লোকসভায় জানানো হবে আগামিকাল। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন মুকুল রায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার যাবতীয় প্রমাণপত্র জোগাড় করেছে বিজেপি নেতা। জানিয়েছেন আজ রাতেই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। কালই লোকসভায় পেশ করা হবে বিষয়টি।
সোমবার দুপুরে করিমপুরে ঘিয়াঘাটে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁকে লাথি মেরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কমিশনের দারস্থ হচ্ছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি, মাটিতে ফেলে মারধর করিমপুরের ঘিয়াঘাটে
বিজেপি প্রার্থীকে নির্যাতনের দায়ে জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মুকুল। এ প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, "কোনও নির্বাচনে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখিনি। নদিয়ার জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিৎ।" একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব করিয়েছেন। উপনির্বাচনে হারবে জেনেই তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।" জয়প্রকাশ মজুমদার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধরের ঘটনায় সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। ঘটনার পরপরই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। ভিডিয়োতে বাবুলের দাবি, এই কাজ করেছে তৃণমূল। এর দায়ে তাদেরকেই নিতে হবে। করিমপুরের বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন "এই অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা একমাত্র আপনাদেরই রয়েছে। দলে দলে বাড়ি থেকে বের হয়ে বুথে গিয়ে ভোট দিন এবং এই গুন্ডারাজের সমাপ্তি ঘটান।"