Murshidabad: বড়ঞায় তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে পরপর বোমা, ঘটনাস্থলেই ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ
Murshidabad: কাদের নেতৃত্বে ওই হামলা হয়েছে তা পুলিসকে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। এনিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে তারাও তৃণমূল কর্মী। আর যিনি খুন হলেন তিনিও তৃণমূল কর্মী
সোমা মাইতি: বোমাবাজিতে প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাপড়দা গ্রামে আমির সেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তাতেই প্রাণ হারান আমির। মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় উত্তজিত জনতা। এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে জনতা।
আরও পড়ুন-নচিকেতার শো বাতিল, দর্শকদের তুমুল ক্ষোভ সামাল দিতে ছুটে এল ২ থানার পুলিস
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর বিবাদেই এই ঘটনা। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বেই এই কাণ্ড হয়েছে। এলাকায় প্রচুর বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। ২০টি বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিস।
রবিবার সন্ধেয় মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন আমির সেখ। সেইসময় পরপর ৪টি বোমা আমিরকে লক্ষ্য করে ফাটানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আমির। এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। বোমার আঘাতে আমিরের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় তাঁর।
কাদের নেতৃত্বে ওই হামলা হয়েছে তা পুলিসকে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। এনিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যারা হামলা চালিয়েছে তারাও তৃণমূল কর্মী। আর যিনি খুন হলেন তিনিও তৃণমূল কর্মী। বড়ঞায় এই অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ও তার জেরে সংঘর্ষ এই প্রথম নয়। এর আগেও অনেকবার গন্ডগোল হয়েছে। আজ সেটি চূড়ান্ত আকার ধারন করে।
ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজার আস্ফালনের পরেও তৃণমূল যে তৃণমূলেই রয়েছে তা বোঝা গেল। বড়ঞা যা ঘটেছে তা এলাকা দখলের লড়াই, কাটমানির লড়াই। এতে তৃণমূল কর্মীর প্রাণ গেল। যে দলেরই কর্মীর প্রাণ যাক না কেন, আমরা তা চাই না। কিন্তু তৃণমূল যে বীজ বপন করেছে সেই গাছই তো হবে। এই অবস্থায় যদি পঞ্চায়তে নির্বাচন হয় তাহলে তৃণমূলের কতজনের যে মৃত্যু হবে তা ইয়ত্তা নেই। বিরোধীদের তো সংকট আছেই। এখনও সময় আছে। সরকার সচেতন হোক। পার্টি নির্বিশেষ বোমা উদ্ধার করা হোক।
এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিষয়টি দল ও প্রশাসনের নজরে এসেছে। দল দলগত ভাবে পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু আপনাকে দুটো জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই। কিছু মান অভিমান থাকতে পারে। বিরোধীরা যারা জনবি্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তারাই বাইরে থেকে বোমা গুলি নিয়ে আসছে। তৃণমূল বোমা গুলির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।