Amartya Sen, Viswa Bharati: সংঘাত তীব্র, অমর্ত্য-ইস্যুতে বিশ্বভারতীর সামনে এবার ধরনায় বিদ্বজ্জনেরা..
অর্মত্য সেনকে উচ্ছেদ করতে এলে, বুলডোজারের সামনে বসে পড়তে হবে! নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসেনজিৎ মালাকার: হাত আর বেশি সময় নেই। মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশে পর, এবার শান্তিনিকেতনে জমি বিতর্কে ধরনার প্রস্তুতি শুরু করে দিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে অমর্ত্য সেনের বাড়ি 'প্রতীচী'র সামনে। আগামি ৬ ও ৭ মে ধরনায় বসবেন শুভাপ্রসন্ন, কবীর সুমন-সহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
জমি বিতর্কে এখনও অনড় বিশ্বভারতী। শুনানিতে হাজিরা না থাকায় উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে! জমি হস্তান্তরের জন্য ৫ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে নোবেলজয়ীকে। নোটিশে স্পষ্ট উল্লেখ, ৫ মে মধ্যে জমি হস্তান্তর না করলে উচ্ছেদ করা হবে।
এদিকে শান্তিনিকেতনের বাড়িতে গিয়ে তিনি নিজে জমি মাপজোক সংক্রান্ত নথি তুলে দিয়েছিলেন অর্মত্য সেনের হাতে। তাহলে? বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশ, অর্মত্য সেনকে উচ্ছেদ করতে এলে, বুলডোজারের সামনে বসে পড়তে হবে! সেইমতোই নোবেলজয়ীর অর্থনীতিবিদের বাড়ির সামনে ধরনা মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: Krishna Kalyani: আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি? তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা!
চুপ করে বসে নেই অমর্ত্য সেনও। বিশ্বভারতীর নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে বীরভূম জেলা জজ কোটে মামলা করেছেন তিনি। শুনানি অবশ্য হয়নি এখনও। সূত্রের খবর, জজ কোর্টের বিচারক এখন নেই। বিষয়টি জানানো হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারককে। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ মে জজ কোটের বিচারক ফিরলে মামলাটি শুনবেন।
ঘটনার সূত্রপাত এবছরের জানুয়ারিতে। অর্মত্য সেন তখন শান্তিনিকেতনেই ছিলেন। গত ২৪ জানুয়ারি তাঁর বাড়ি 'প্রতীচী'র ঠিকানায় চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে উল্লেখ, 'বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল রেখেছেন অমর্ত্য। সেই জমি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তরের অনুরোধ করা হচ্ছে'। এরপর চিঠি পাঠানো হয় আরও দু'বার।