টাকা পড়ে থাকলেও বড় কাজ হচ্ছে না, নিজের এলাকার পঞ্চায়েতগুলির সমালোচনা মহুয়ার
হাতে টাকা থাকলেও এলাকায় ঠিকমতো পরিকল্পনা করে কাজ করছে না কৃষ্ণনগর এলাকার বহু পঞ্চায়েত। এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই অভিযোগ আনলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতে টাকা থাকলেও এলাকায় ঠিকমতো পরিকল্পনা করে কাজ করছে না কৃষ্ণনগর এলাকার বহু পঞ্চায়েত। এক ফেসবুক পোস্টে এমনটাই অভিযোগ আনলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
আরও পড়ুন-'আমাদের এত টাকা কই?' ২১ জুলাই ভার্চুয়াল 'শহিদ দিবস' পালন নিয়ে বললেন তৃণমূলনেত্রী
তৃণমূল সাংসদ বলেন, চতুর্দশ অর্থ কমিশন ও পারফরমেন্স বেসড গ্রান্ট মিলিয়ে গড়ে প্রতিবছর প্রতিটি পঞ্চায়েত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা পায়। পাঁচ বছরে একটি পঞ্চায়েত কমপক্ষে ৫-৬ কোটি টাকা পায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বহু পঞ্চায়েত তার পুরোনা টাকা খরচ করতে পারেনি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করার নিয়ম। ওই বিপুল টাকা খরচ করলে গ্রামীন এলাকায় একাও কাঁচা রাস্তা থাকবে না। এখনও এলাকায় গেলে মানুষ বলে, দিদি রাস্তা করে দিন।
মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, ২০১৪ সালে রাজ্য সরকারের তরফে বলে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকার বেশি কাজ করলে তার ই-টেন্ডার করতে হবে। ই-টেন্ডার করতে হবে বলে অনেক পঞ্চায়েত ৫ লাখ টাকার বেশি কাজই করেনি। সাড়ে তিন লাখের বেশি টাকার কাজ হলে ব্লকের আধিকারিক সেই কাজ রিভিউ করবেন। তাই দেখা যাচ্ছে, ৫০ লাখ টাকার কাজ হচ্ছে ২৫টি স্কিমে। অর্থাত্ গড়ে ২ লাখ টাকার। ওই টাকা দিয়ে ৫০-৬০ মিটারের ছোট ছোট রাস্তা হচ্ছে। কিন্তু বড় রাস্তা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-'আমাদের এত টাকা কই?' ২১ জুলাই ভার্চুয়াল 'শহিদ দিবস' পালন নিয়ে বললেন তৃণমূলনেত্রী
পঞ্চায়েত গুলির উদ্দেশ্য সাংসদ বলেন, আমাদের বড় রাস্তা করতে হবে, নিকাশী নালা করতে হবে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, লেডিজ টয়লেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির ইউনিট তৈরি করতে হবে। বড় কাজগুলো হয়ে হয়ে গেলে ছোট কাজ করুন। টাকা ফেলে রাখবেন না।