তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীল শর্মার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তাঁরই স্কুলের শিক্ষিকার
"বার বার রঞ্জন শীল শর্মা হেনস্থা করেছেন। কিন্তু পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে সব মুখ বুজে সহ্য করেছি।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের বিতর্কে শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র পারিষদ রঞ্জন শীল শর্মা। এবার শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব ও মানসিক হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। রঞ্জন ও তাঁর স্কুলের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষিকা।
অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান শিলিগুড়িতে যে প্রাইমারি স্কুলে তিনি পড়ান সেই স্কুলেরই টিচার ইন চার্জ রঞ্জন শীল শর্মা। শিলিগুড়ির দাপুটে তৃণমূল নেতা রঞ্জন। একই সঙ্গে তিনি কাউন্সিলর ও শিক্ষক সংগঠনের নেতা। শিক্ষিকার দাবি, ২০১৭ সালে রঞ্জনের কাছ থেকে পারিবারিক প্রয়োজনে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন তিনি। তার পর থেকেই তাঁকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন রঞ্জন। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে আসতে থাকে কুপ্রস্তাব।
শিক্ষিকার অভিযোগ রঞ্জনের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে হেনস্তা করা শুরু হয়। শুধু রঞ্জন নয়, তাঁর স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধেও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ জানান ওই শিক্ষিকা। তিনি বলেন, "বার বার রঞ্জন শীল শর্মা হেনস্থা করেছেন। কিন্তু পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে সব মুখ বুজে সহ্য করেছি।" তিনি জানান, শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা হওয়ার রঞ্জনের বিরূদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাননি।
কিন্তু, মঙ্গলবার লাগাতার মানসিক অত্যাচারের মুখে তিনি ভেঙে পড়েন বলে জানান ওই শিক্ষিকা। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনেই তাঁকে অপমান করেন অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: 'দিদিকে বলো'য় ফোন করে উদ্ধার পেলেন কর্নাটকে বন্যায় আটকে পড়া বাঙালি পরিবার
তবে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা রঞ্জন শীল শর্মা। তাঁর দাবি, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, "স্কুল ও আমার বদনাম করতেই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন ওই শিক্ষিকা।"
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগেও স্কুলেই তাঁর কার্যকলাপের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রঞ্জন শীল শর্মা। সে বার স্কুলের ডিআইয়ের মুখে থুথু ছেটানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।