Bankura | Suvendu Adhikari: 'শুভেন্দুর সভায় গেলে বন্ধ হবে সরকারি পরিষেবা', হুঁশিয়ারি বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতার
বাঁকুড়ায় আগামী ২৮শে এপ্রিল ইন্দাস ব্লকের শাসপুরে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা। সেই সভার আগে সোমবার সন্ধ্যায় ইন্দাসে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সভা করে ইন্দাস ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার ভালো কাজ করার জন্য এলাকার গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আমরা লাঠি ধরতেও প্রস্তুত আছি’।
মৃত্যুঞ্জয় দাস: ২৮ তারিখ শুভেন্দুর সভায় গেলে তাদের সরকারি পরিষেবা পাওয়ার বিষয় নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন ইন্দাসের ব্লক সভাপতি। এলাকার গণতন্ত্র রক্ষার জন্য বিজেপি নেতাদের ঘরে ঢুকে ঠান্ডা করতে পারি, দাবি ব্লক সভাপতির। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি।
বাঁকুড়ায় আগামী ২৮শে এপ্রিল ইন্দাস ব্লকের শাসপুরে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা। সেই সভার আগে সোমবার সন্ধ্যায় ইন্দাসে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সভা করে ইন্দাস ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইন্দাস ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শেখ হামিদ চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের রাজনৈতিক রণকৌশল আমাদের নীতি আমাদের আদর্শকে চেঞ্জ করতে হবে’।
তিনি বলেন, ‘এলাকায় বিভিন্ন কর্মী রয়েছে, বিভিন্ন বুথ সভাপতি রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চল নেতৃত্ব রয়েছে। সকলকে বলব খাতা কলম নিয়ে বসে থাকবেন। আগামী ২৮ তারিখ সাহসপুরে শুভেন্দু অধিকারী আসছে আপনার এলাকা থেকে কোন কোন মানুষ সেই সভাতে যাচ্ছে নামটা শুধু লিখে রাখবেন। তার ঘরের লক্ষীর ভান্ডার থেকে শুরু করে তার ঘরের কৃষক বন্ধু থেকে শুরু করে তার ঘরের ভাতা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলো তারা পাচ্ছে সেটা বুঝবো। বাকিটা ইতিহাস করব। এটা কিন্তু আপনারা বুঝে রাখুন’।
আরও পড়ুন: Shamshergunj: দুই গোষ্ঠীর দুই অঞ্চল সভাপতি! সামসেরগঞ্জে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
এমনকি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মনে করি বিজেপি নেতাদের শায়েস্তা করব, আমরা কোনও যাত্রা বা অনুষ্ঠানে নয় আমরা কোনও হাটে বাজারে নয়, আমরা বাড়িতে গিয়ে ঠান্ডা করার ক্ষমতা রাখি’।
তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার ভালো কাজ করার জন্য এলাকার গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আমরা লাঠি ধরতেও প্রস্তুত আছি’।
এই ঘটনায় বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটা অভিযোগ করে আসছি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। এতদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির লোকজনকে ওরা নিজের লোকজন এবং গুন্ডাদের দিয়ে দুর্নীতিবাজদের দিয়ে মারধর করছে। এবার এখন ওদের কাছে জনবল সরে গিয়েছে। এখন ওরা রাষ্ট্রীয় শক্তি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে যাতে সাধারণ মানুষকে হ্যাকেল করা যায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষীর ভান্ডার কি তৃণমূলের টাকা? এটা তো সাধারণ মানুষের টাকা। তবে এরা বলে কি করে? আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলছি পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে যার সিলমোহর লাগালেন হামিদ বাবু’।