'পুলিসি প্রশয়েই মারধর', দাঁতনে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মৃত্যু বিজেপি কর্মীর
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত হয় ৬ জন বিজেপি কর্মী ও ২ জন তৃণমূল কর্মী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের আইকোলা কুসমি গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুরুতর জখম বিজেপি কর্মী পবন জানার। আজ কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসার সূত্রপাত হয় বুধবার সকালে। সাময়িকভাবে মিটে গেলেও বুধবার রাতে লাঠি, রড নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর তৃণমূল অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দাঁতনের কুসমি এলাকা। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত হয় ৬ জন বিজেপি কর্মী ও ২ জন তৃণমূল কর্মী। এদের মধ্যে পবন জানা সহ ৩ বিজেপি কর্মীকে রাতেই স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় পবন জানাকে পরে রাতে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যায় জেলাজুড়ে পথ অবরোধের ডাক দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনায় পুলিসকে তীব্র ধিক্কার জানান বিজেপি জেলা সভাপতি শমিত কুমার দাস। তাঁর অভিযোগ, পুলিসের প্রশয়েই তাদের দলীয় কর্মীদের মারধর করেছে তৃণমূল। গোটা ঘটনার পিছনে পুলিসকে দায়ি করেছেন তিনি। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, তৃণমূল কর্মীদের ওপর প্রথমে হামলা চালিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এরপরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। হামলার ঘটনায় দু'পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে দাঁতন থানার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাঁতন থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত ১৩ হাজার ছুঁই ছুঁই, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আরও ১২ জনের